বোয়ালখালীতে সড়ক সংস্কার করে লাভ হলো না, তিন মাসে বেহাল অবস্থা পূজন সেন,

ট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার আমুচিয়া-জ্যৈষ্ঠপুরা-গোলক কানুর বাজার-কর্ণফুলী সড়ক সংস্কারের তিন মাসের মাথায় বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে সড়কটির ৪৮ মিটার অংশ। পানিতে গেছে সংস্কারের অর্থ ও শ্রম। যানচলাচলে দূভোর্গ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে সবেমাত্র তিন মাস হয়েছে। সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পরপরই সড়কটির বেশির ভাগ অংশ দেবে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দক। ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি শোধানাগার প্রকল্পের ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে সড়কটির এমন অবস্থা বলে দাবি করছেন উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয়রা। জানা গেছে, ৭৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয়ে আমুচিয়া-জ্যৈষ্ঠপুরা-গোলক কানুর বাজার-কর্ণফুলী সড়কটি প্রায় আড়াই কিলোমিটার সংস্কার কাজ করেন উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস নাজিম এন্টার প্রাইজ চলতি বছরের মে মাসে এ কাজ শেষ করেন। সংস্কারের তিনমাসের মধ্যেই সড়কটির প্রায় ৪৮মিটার অংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এ সড়কটির ঝুঁকিপূর্ণ অংশে গাড়ি উল্টে দূর্ঘটনা ঘটছে প্রায় সময়। বিকল হচ্ছে গাড়ি। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, সড়কটি ১০টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি শোধানাগার প্রকল্পে ব্যবহৃত গাড়িগুলো ওজন ৪৫টনের বেশি। এসব গাড়ি চলাচলের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো নষ্ট হচ্ছে। উপজেলার সহকারি প্রকৌশলী মো. ফারুখ বলেন, ওয়াসার ভারী ট্রাক-লরী চলাচলের ফলে গ্রামীণ সড়ক সংস্কার করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে ওয়াসাকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ওয়াসার প্রজেক্ট পরিচালক মৌখিকভাবে সড়কটি মেরামত করে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন। তবে ওয়াসার প্রজেক্ট পরিচালক মো. মাহবুব আলম প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোনো চিঠি পাননি জানিয়ে বলেন, রাস্তায় তো গাড়ি চলবে। এতে সড়ক নষ্ট হলে কি করার আছে।

Seen by Mirza Muhammad Imtiaz Shahid at 2:35 PM