মানবজমিনের গোয়ালন্দ প্রতিনিধি সুজনকে কুপিয়ে জখম

সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক মানবজমিনের গোয়ালন্দ প্রতিনিধি সুজন খন্দকারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার অফিস কক্ষে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলায় সুজন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। বর্তমানে তিনি গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলার দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই গোয়ালন্দ থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তিনি আহত সাংবাদিক সুজনকে হাসপাতালে দেখতে যান। গুরুতর জখম সুজন জানান, গতকাল রাতে স্থানীয় পান্নু মোল্লার বাড়ি সংলগ্ন অফিসে বসে তিনি কাজ করছিলেন। এ সময় তিনি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী শহিদ ডাক্তারের ছেলে সোহেল (২৫), বিকাশ, ইয়াসিন, রাকিব, শহিদ ডাক্তার ও তার স্ত্রী মনোসহ ১৪-১৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি ও ধারালো ছুরি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা তার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে।

এতে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে সন্ত্রাসীরা চলে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সাংবাদিক সুজন জানান, ইতিপূর্বে চিহ্নিত ওই মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তিনি একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ করেছেন। যার জের ধরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই নৃশংস হামলা চালানো হয়। এদিকে সাংবাদিক সুজনের ওপর এই হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক ও সুধী সমাজ। তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে গতকাল সন্ধ্যায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।