জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না রাশিয়া

জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। দেশটি জানিয়েছে, সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলে পরমাণু বিপর্যয়ের আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পাবে। দক্ষিণ ইউক্রেনের ওই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত মার্চ মাস থেকেই রাশিয়ার দখলে রয়েছে। রাশিয়ার অধীনেই এতদিন সেখানে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছিল। তবে গত কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়েছে। ইউক্রেন ওই এলাকায় রকেট হামলা চালাচ্ছে। এতে পরমাণু বিপর্যয়ের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।

অপরদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে রাশিয়াও। দেশটির দাবি, ইউক্রেন হামলা চালিয়ে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে ঝুঁকিতে ফেলছে।

এমন অবস্থায় অবিলম্বে ওই এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে রাশিয়ার প্রতি। তবে রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, সেটি করা হলে পরমাণু বিপর্যয়ের আশঙ্কা আরও বাড়বে।
ওই প্ল্যান্টটিতে এখনও ইউক্রেনীয় কর্মীরাই দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও এটির নিয়ন্ত্রণে আছে রাশিয়া। ইউক্রেনে আক্রমণের প্রথম দিকে দখল করা স্থাপনাগুলোর মধ্যে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অন্যতম। তবে সম্প্রতি ওই স্থানে থাকা রুশ সেনাবাহিনীকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাভিবে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরাঁ সাথে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দাবি করেন পারমাণবিক স্থাপনাটির পুরোপুরি ‘বেসামরিককরণ’ নিশ্চিত করতে হবে জাতিসংঘকে।

পরে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগানের সঙ্গে ত্রি-পক্ষীয় এক বৈঠকের পর ইউক্রেনের এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, স্থাপনাটির কোনো ক্ষতি হলে তা হবে আত্মহত্যার সামিল। সরাসরি রুশ সৈন্য প্রত্যাহার বা স্থাপনার ওপর গোলাগুলির জন্য কোনো একটি পক্ষকে দায়ী না করলেও তিনি সে সময় বলেন, সামরিক অভিযানের অংশ হিসাবে কোনোভাবেই এই পারমাণবিক স্থাপনাটি ব্যবহার হতে পারবে না। জাপোরিঝজিয়ায় বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্টও সাংবাদিকদের বলেন, চেরনোবিলের মতো আরেকটি পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তবে তিনিও সরাসরি কোনো একটি পক্ষকে দায়ী করেননি।