দুই ‘রোহিঙ্গা মানবপাচারকারী’সহ বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩

কক্সবাজার প্রতিনিধি। কক্সবাজার ও টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ‘রোহিঙ্গা মানবপাচারকারী’সহ এক ইয়াবা ব্যবাসায়ী নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোর রাতে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন শামলাপুর মেরিনড্রাইভ ও কক্সবাজার কাটাপাহাড় এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত রোহিঙ্গারা হলেন শামলাপুর ২৩ নম্বর ক্যাম্পের আব্দুর রহিমের ছেলে আজিম উল্লাহ (২০) ও উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মৃত রহিম আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৫২)। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত দুজন রোহিঙ্গাই মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন এএসআই জহিরুল ইসলাম,কনস্টেবল মোবারক হোসেন, খায়রুল ও মানিক মিয়া। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর রাতে কতিপয় দালাল বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন শামলাপুর মেরিনড্রাইভ এলাকায় পাচারের উদ্দেশে রোহিঙ্গাদের জড়ো করছিল। খবর পেয়ে টেকনাফ পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওসি আরও জানান, নিহতরা রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। এদিকে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী ছৈয়দুল মোস্তফা প্রকাশ ভুলু বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের কাটা পাহাড় এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৪০০ পিস ইয়াবা, একটি এলজি, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ছয়টি খালি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ছৈয়দুল মোস্তফা প্রকাশ ভুলু কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার জহির হাজির ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানিয়েছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী ছৈয়দুল মোস্তফা প্রকাশ ভুলুকে নিয়ে কাটাপাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে সে গুলিবিদ্ধ হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।