প্রাক-মৌসুমের শেষ ম্যাচে রিয়াল-বার্সার ২ গোলের জয়

চ্যাম্পিয়নস লীগের শিরোপা জয়ী দল রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ লা লিগার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। নতুন মৌসুমেও সেরা অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করবে কার্লো আনচেলত্তির দল। তার আগে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি সেরেছে লস ব্লাঙ্কোরা। সবশেষ ম্যাচে শনিবার জুভেন্টাসকে ২-০ গোলে হারায় রিয়াল। মেরেঙ্গুসদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাও পেয়েছে ২ গোলের জয়। নিউ ইয়র্ক রেডবুলসকে হারায় ব্লাউগ্রানারা।

রোজ বৌল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচটিতে জুভেন্টাসের ওপর দাপট দেখায় রিয়াল মাদ্রিদ। ৫৮ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১৩টি শট নেয় রিয়াল। যার লক্ষ্যে ছিল ৪টি। ৪২ শতাংশ বল দখলে রাখা জুভেন্টাস ৫টি শটের একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।

ম্যাচের ১২তম মিনিটে অল্পের জন্য গোল পায়নি জুভেন্টাস।

লিওনার্দো বোনুচ্চির নেয়া ফ্রি-কিক গোলপোস্টের কোণায় লেগে বাইরে চলে যায়।
আগের দুই ম্যাচে জয়ের মুখ না দেখা রিয়াল ১৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় করিম বেনজেমার গোলে। ডি-বক্সের ভেতর ভিনিসিউস জুনিয়রকে ঠেকাতে পেছন দিয়ে ফেলে দেন জুভেন্টাসের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো। সফল স্পটকিকে ব্যবধান গড়ে দেন বেনজেমা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করেন মার্কো অ্যাসেনসিও।
রাতের আরেক প্রীতি ম্যাচে রেড বুল অ্যারেনায় স্বাগতিক নিউইয়র্ক আরবির ওপর আধিপত্য দেখায় বার্সেলোনা। এক তৃতীয়াংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১৬টি শট নেয় কাতালানরা। যার লক্ষ্যে ছিল ৭টি। অপরদিকে নিউইয়র্ক রেড বুলস ৭টি শটের একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। দারুণ ছন্দে থাকা বার্সেলোনা ৪০তম মিনিটে এগিয়ে যায় উসমান দেম্বেলের গোলে। টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল করলেন বার্সার এই ফরাসি তারকা। আগের ম্যাচে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ২ গোল করেছিলেন দেম্বেলে। শেষ বাঁশি বাজার ৩ মিনিট বাকি থাকতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেম্ফিস ডিপাই।

প্রাক মৌসুম প্রস্তুতিতে চার ম্যাচের ৩টি জিতেছে বার্সেলোনা। অন্যটি ড্র। ইন্টার মায়ামিকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে এল ক্লাসিকোয় রিয়াল মাদ্রিদকে ১-০ গোলে হারায় ব্লাউগ্রানারা। তৃতীয় ম্যাচে জুভেন্টাসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে জাভি হার্নান্দেজের দল। এবার নিঊইয়র্ক রেডবুলসকে হারিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করবে বার্সা।

অপরদিকে তিন ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এল ক্লাসিকোয় হারের পর দুর্বল প্রতিপক্ষ ক্লা আমেরিকার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে লস ব্লাঙ্কোরা। শেষ ম্যাচে জুভেন্টাসের বিপক্ষে জয়ে ফিরলো মেরেঙ্গুসরা।