বাংলাদেশ হিন্দু শূন্য হলে তালেবান রাষ্ট্রে পরিণত হবে

বাংলাদশ যে দিন হিন্দুশূন্য হয়ে যাবে, সেদিন আফগানিস্থানের মতো তালেবান দেশে পরিণত হবে। সম্প্রতি জনশুমারীর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ১৯৭০ সালে ছিল ২০ শতাংশ, ১৯৪৭ সালে ছিল ২৯ শতাংশ।এই হার অব্যহত থাকলে এক সময় বাংলাদেশ হিন্দু শূণ্য হয়ে যাবে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাস গুপ্ত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে গুরুকূল আশ্রম কর্তৃক আয়োজিত সাংবাদিক সন্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভক্তবৃন্দের পক্ষে ডালিম আশ্চার্য্য। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল পালিত, বিপুল লোদ, ডা. চন্দন দত্ত, সুজিত চৌধুরী, কিশোর কুমার পাল, নারায়ন মহাজন, অশোক চক্রবর্তী, রনজিত সিকদার প্রমূখ।
গুরুকূল আশ্রম আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতিসাধনে লিপ্ত রয়েছে একটি প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিদস্যুরা। ইতিমধ্যে এই মন্দির ও আশ্রমের ৫ একর জায়গা বেআইনীভাবে দখলে নিয়েছে এবং তাদের জবর-দখলের পায়তারা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে মন্দিরে আগত ভক্তদের এবং মন্দির সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দকে মামলা- হামলা ও হয়রানি করে চলেছে দখলবাজিদের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা। এ আশ্রমের ৪ একর ভূমি এশিয়ান মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সরকার একোয়ার করেছে। বাকী ৩১ একর ভূমি দখলের জন্য যারা পায়তারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আজ এই সংবাদ সন্মেলন। ব্যাংকের টাকা লুটেরাদের দৃষ্টিও এখন সেদিকে। এই অবস্থায় আমরা সনাতনী সম্প্রদায় বসে থাকতে পারিনা। আজ আমাদের ঘর বাড়িতে হামলা হয়, জায়গা দখল হয়ে যায়, নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়, এমনকি মন্দির উপসনালয়েল জায়গা দখল হতে চলেছে।
১৯৭১ সালে আমরা সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। ওই সময়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া ১ কোটি মানুষের মধ্যে ৯২ লক্ষ ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের। তৎকালীন পাকিস্থান সরকার অপারেশন সার্চ লাইটের নামে হিন্দুদের নির্যাতন, লুটপাট ও হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে, যাতে করে বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা চলে যায়। কারণ পাকিস্থান বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৬ দফার প্রতি হিন্দুদের পুন সমর্থন ছিল। আজ স্বাধীন বাংলাদেশের যদি সেই প্রতিক্রিয়াশীলদের মতো সরবে ও নীরবে অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে চায়, তাহলে আমরা সে সময়ের মত নিরবতা থাকবোনা। আজ আমরা ঐক্যবদ্ধ সনাতনী স্বার্থ রক্ষায়।