এ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি

>>এ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। ১০ বছর আগেও এভাবেই য়্যুভেন্তাসে ভিড়েছিলেন এই ফরাসি। সে দিনের বছর উনিশের তরুণ এখন বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ২৯ বছর বয়সী পল পগবা দ্বিতীয়বারের মতো যোগ দিলেন য়্যুভেন্তাসে। প্রথমবারের মতো এবারও ফ্রি এজেন্ট হিসেবে দলে আসায় তাকে দলে ভেড়াতে কোনো খরচ করতে হয়নি ইতালির জায়ান্ট ক্লাবটির।
ম্যানইউ ছেড়ে ফের য়্যুভেন্তাসে গেলেন পগবা

 

২০১২ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে প্রথমবারের মতো তুরিনের ওল্ড লেডিদের দলে যোগ দেন ইংলিশ ক্লাবটির একাডেমির অন্যতম সেরা প্রতিভা পল পগবা। মূলত গেম টাইমের জন্যই ওল্ড ট্রাফোর্ড ছেড়ে অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর চার বছরে কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে ফুটেছেন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারে। প্রতিভা হারানোর আফসোসে তাকে ফের ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

 

শেষ পর্যন্ত ২০১৬ সালে ৮ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরে আসেন এই ফরাসি। সেখানে শুরুটা ভালোই হয়েছিল। প্রথম মৌসুমেই দলের ইউরোপা লিগ বিজয়ে বড় অবদান রাখেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ক্লাবটিতে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন এই বিশ্বকাপজয়ী। য়্যুভেন্তাস ও ফ্রান্স দলের নৈপুণ্যের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেননি ইংলিশ জায়ান্টদের হয়ে।

২০২১-২২ মৌসুমের শুরুতেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল এই মৌসুমে আর রেড ডেভিলদের শিবিরে থাকছেন না তিনি। চুক্তির মেয়াদ শেষে তিনি আর নতুন করে চুক্তি করবেন না বলে জানিয়ে দেন ক্লাবটিকে। তখন থেকেই জল্পনা চলছিল কোথায় হবে তার পরবর্তী গন্তব্য। একসময় রিয়াল মাদ্রিদ তাকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করেছে অনেক। আগ্রহ ছিল বার্সেলোনারও। কিন্তু য়্যুভেন্তাসের সঙ্গে পগবার সম্পর্কটা বিশেষ তাই পরবর্তী গন্তব্য যে ইতালির দলটিই, তা নিশ্চিত হওয়া গেছে আগেই। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা।

 

মেডিকেল ও আনুষ্ঠানিকতা সারার পর সোমবার (১১ জুলাই) ইতালিয়ান ক্লাবটির পক্ষ থেকে পগবার চুক্তির বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হয়। সিরি ‘আ’র সফলতম দলটার সঙ্গে চার বছরের জন্য চুক্তি করেছেন তিনি। ২০২৬-এর জুন পর্যন্ত তুরিনের ক্লাবটিতে থাকছেন তিনি।

য়্যুভেন্তাসে প্রথম দফায় ২০১২-১৬ পর্যন্ত মাঝমাঠে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ৩২ গোল করেছেন তিনি। এ ছাড়াও সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ৩৪ গোল। এ সময়ে টানা ৪টি সিরি ‘আ’ শিরোপা জিতেছেন তিনি। এ ছাড়া খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল।