ঈদের ছুটি: শ্রমিক কম থাকায় কন্টেইনার খালাসে ধীরগতি

ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে জেটিতে ভেড়ানোর অপেক্ষায় রয়েছে বেশ কয়েকটি জাহাজ। জরুরি পণ্য ছাড়া বন্দর এলাকা থেকে পণ্য খালাস হচ্ছে না।

শ্রমিক সংখ্যা কম থাকায় কন্টেইনার খালাসের কাজেও আছে ধীরগতি।
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার ১০০ টিইইউএস। ধারণক্ষমতার কাছাকাছি কন্টেইনার জমা হলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। তাই বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে চার গুণ হারে স্টোর রেন্ট আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়। স্বাভাবিক হারে ভাড়া দিয়ে ২০ দিন পর্যন্ত ইয়ার্ডে রাখা যাচ্ছে কন্টেইনার। এর মধ্যে খালাস না নিলে ২১তম দিন থেকে গুণতে হয় জরিমানা।

বন্দর ও শিপিং এজেন্টস কর্মকর্তারা জানান, ঈদের সময় বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ থাকে জাহাজ। ৩-৪দিন অপেক্ষার পর জেটিতে এনে কন্টেইনার খালাস করতে দুই-তিন সপ্তাহ লেগে যায়। ঈদের দিন ৮ ঘণ্টা কাজ চলে। অন্যান্য সময় ২৪ ঘণ্টাই বন্দরে জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কার্যক্রম চলে। ছুটিতে পরিচালন কার্যক্রম সচল থাকলেও ব্যবহারকারী সব সংস্থা সক্রিয় থাকে না।

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও বন্দর কখনও একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। দক্ষ পরিচালনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ফলে বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংসহ বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি হয়েছে। বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থানকাল কমেছে। দ্রুত বার্থিং পাচ্ছে এবং বন্দর ত্যাগ করছে। নতুন ইক্যুইপমেন্ট যুক্ত হয়েছে এবং সক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় বন্দরে জাহাজ আসার সংখ্যাও বেড়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সমুদ্রপথে ৯৮ শতাংশ কনটেইনারে আনা-নেওয়া হয়। মূলধনী যন্ত্রপাতি থেকে বাণিজ্যিক পণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল কনটেইনারে আনা হয়। একইভাবে রপ্তানি পণ্য নেওয়া হয় কনটেইনারে।