রাউজান কর্ণফুলী বালুর মহাল এর ভলগেটের মাঝি মোল্লাদের উপর সন্ত্রাসী নাছিরের হামলা

চট্টগ্রাম রাউজান নোয়াপাড়া মৌজার কর্ণফুলী বালুর মহালকে সরকারের যথা নিয়মে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কর্তৃক ইজারাকৃত সর্বোচ্চ ৮২,০০,০০০ (বিরাশি লক্ষ) টাকা ইজারা মেসার্স হোসেন এন্ড হাসান ট্রেডিং। উক্ত বালুর মহালে সন্ত্রাসীরা রাউজান নোয়াপাড়ার চিহ্নিত ডাকাত টাইগার নাছিরের নেতৃত্ত্বে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময় তান্ডব চালিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে মাঝি মোল্লাদেরকে আক্রমন করে টাকা পয়সা মোবাইল হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। উক্ত বালুর মহলটি দীর্ঘদিন সরকারকে পর্যাপ্ত পরিমান রাজস্ব না দিয়ে সুকৌশলে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ইজারা নিয়ে বালুর ব্যবসা করে আসত কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এই প্রথম উক্ত বালুর মহলটি হতে সরকার স্মরণকালের সর্বোচ্চ রাজস্ব পেয়েছে। বালুর মহলটি সন্ত্রাসী গ্রুপের হাত ছাড়া হওয়ার পর সন্ত্রাসীরা অসংখ্য ডাকাতি মামলার পলাতক আসামী নোয়াপাড়ার মরহুম জিয়াউল হক এর পুত্র মো: নাছির বাদশা, প্রকাশ টাইগার নাছির, প্রকাশ ঢাকাত নাছির, প্রকাশ টোকাই নাছিরের সহযোগীতায় বিগত তিন দিন আগে বোয়ালখালীর সীমিনা হতে মাঝি মোল্লাদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সাতটি মোবাইল ও নয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় । ঐ ঘটনার রেশ কেটে উঠার আগেই  কর্ণফুলী রাউজান নোয়াপাড়া বালুর মহল থেকে বালু বোঝায় করে কর্ণফুলী নতুন ব্রিজ সংলগ্ন বিক্রয় কেন্দ্রে আসার পথে বোয়ালখালীর পশ্চিম কদুর খীলস্থ গুইলদা খালী নামীয় স্থানে পৌছার পর সাম্পান বোট নিয়ে অতর্কিত ভাবে অজ্ঞাত পরিচয়ের চার পাঁচ জন অস্ত্রধারী ডাকাত হোসেন এন্ড হাসান ট্রেডিং এর বালু বোঝায়কৃত ভলগেটে উঠে মাঝি মোল্লাদেরকে প্রকাশ্য মারধর করে বিশ হাজার টাকা ও তিন টি মোবাইল লুঠ করে নিয়ে যায় এবং নিয়ে যাওয়ার সময় প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে বলে যে, টাইগার নাছিরের দাবিমত তিন লক্ষ টাকা ও টাইগার নাছিরের বড় ভাইখ্যাত এক নেতার নামে পাঁচটি ভলগেট ফ্রি না দিলে তাহলে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটাবে। উক্ত ঘটনায় তিনজন মাঝি মোল্লা মারাত্মকভাবে আহত হন একজন মাঝি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে মেসার্স হাসান এন্ড হোসেন প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী বালুর মহালের ইজারাদার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের  সদস্য মো: ইউনুস বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মোবাইলের মাধ্যমে অবগত করেন এবং মামলা দায়ের প্রস্তুতি নেন। সংগঠিত ঘটনার বিষয়ে ইজারাদার মো: ইউনুস চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকসহ পুলিশ, র‌্যাব, কোর্সগার্ড বিশেষ করে নৌ-পুলিশের দায়ীত্বরত কর্মকর্তাদের হস্থক্ষেপ কামনা করে  বলেন যে, আমরা সরকারের রাজস্ব আদায়ের ব্যবসায় জড়িত হয়ে কোন ভুল করেছি কিনা জানি না আমাদের যান-মালের নিরাপত্তাসহ সংগঠিত ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে চিহ্নিত করার অনুরোধ রইল।