বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য রুটি বানাবে কলেজের শিক্ষার্থীরা

সিলেটে বন্যাদুর্গত মানুষের খাদ্য সহায়তা দিতে কলেজে কলেজে নিজ হাতে রুটি ও খাদ্যসামগ্রী তৈরি করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি কলেজের শিক্ষার্থীরা। হাতে তৈরি এইসব রুটি ও খাদ্যসামগ্রী দুর্গম এলাকায় নির্বিঘ্নে পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতনের ১২ লাখ টাকা সিলেটে বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তার জন্য পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

উপাচার্য জানান, বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতনের ১২ লাখ টাকা তুলে প্রাথমিকভাবে সিলেটে বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তার জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই অঞ্চলের ১২টি কলেজকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে ১২টি কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে কলেজে কলেজে রুটি ও খাদ্যসামগ্রী তৈরি করবে। এরপর এগুলো প্রস্তুত করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে পৌঁছে দেবে। দুর্গম এলাকায় হাতে তৈরি এসব রুটি ও খাদ্যসামগ্রী নির্বিঘ্নে পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে এসব বিষয় নিয়ে সিলেট অঞ্চলের ১২টি কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপের মাধ্যমে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।

বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, সেনাবাহিনীর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাও সংযুক্ত ছিলেন।

বৈঠকে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে সুষ্ঠুভাবে খাদ্য সহায়তা বিতরণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘শুধু সিলেট নয়, সারা দেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে সব সময় থাকবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি রয়েছে।’

উপাচার্য অন্যান্য কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই ধরনের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।