বৃকরোনাভাইরাসের সময়ে পাঁচ লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী কাজ হারিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
হস্পতিবার (২৩ জুন) সংসদের বৈঠকে ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, ২০২২ সালে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯৭৯ জন অভিবাসী কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থান লাভ করেছে। বর্তমানে বিশ্বে ৮৪টি দেশে মোট ১০ লাখ ৫০ হাজার ৮১৯ জন বাংলাদেশে নারী শ্রমিক কাজ করছেন।
এসময় নারী কর্মীদের নিরাপত্তা রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনগুলোর মাধ্যমে নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের দুর্ভোগ কমাতে আমিরাতে ‘দুয়ারে কনস্যুলেট’ সেবা
এর আগে, নতুন অর্থবছরে সরকার ৮ লাখ ১০ হাজার কর্মীকে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রত্যাগত কর্মীদের রিইন্টিগ্রেশন ও আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সহজ শর্তে ‘বিনিয়োগ ঋণ’, প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, অক্ষম প্রবাসী কর্মীদের দেশে ফেরার পর চিকিৎসা সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী দিনে অভিবাসনে পিছিয়ে পড়া দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সমগ্র দেশ থেকে অধিকহারে অভিবাসনে উৎসাহী করার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সব উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি জানান, নতুন অর্থবছরে উপজেলা পর্যায়ে ১০০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণকাজ আরম্ভ করা হবে। এছাড়া, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৮ লাখ ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা এবং ৫ লাখ ২০ হাজার জনকে বিভিন্ন ট্রেডে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।