ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে রুশ বাহিনীর অবরোধ “যুদ্ধাপরাধের” শামিল

ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে রুশ বাহিনীর অবরোধ “যুদ্ধাপরাধের” শামিল বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল। তার মতে, ওইসব বন্দরগুলোতে লাখ লাখ টন গম আটকা পড়ে রয়েছে, যার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যঘাটতির সৃষ্টি হচ্ছে।

এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ সোমবার ইইউ’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা লুক্সেমবার্গে পররাষ্ট্র বিষয়ক কাউন্সিলের এক বৈঠকে মিলিত হন যেখানে বরেল ওই মন্তব্য করেন। নেতাদের আলোচনা ইউক্রেন ও খাদ্য নিরাপত্তার উপর কেন্দ্রীভূত ছিল।

ইইউ নেতাগণ কৃষ্ণসাগরের মধ্য দিয়ে আটকে পড়া শস্য চালান করার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে আফ্রিকাতে বড় ধরনের দুর্ভিক্ষের জন্য সতর্ক করে দিয়ে বরেল রুশ নেতাদের প্রতি অবরোধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানান। তবে, রুশ বাহিনীর ভাষ্যানুযায়ী, বন্দরগুলো থেকে মাইন সরিয়ে নিতে ইউক্রেনীয়রাই ব্যর্থ হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ জাতিসংঘের কর্মকর্তারা আলোচনার মাধ্যমে একটি সমুদ্রপথ চালু করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া জার্মানি, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার নেতাগণ রেল ও অন্যান্য স্থলপথের মাধ্যমে নতুন শস্যের কিছু পরিবহনের চেষ্টা করছেন।

বরেল জানিয়েছেন, তিনি আফ্রিকার সকল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এই লিখে পত্র পাঠাচ্ছেন যে, রাশিয়ার প্রতি ইইউ’র নিষেধাজ্ঞার কারণে এই সংকটের সূত্রপাত হয়নি। ইইউ নেতাগণ কখনোই রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এসব দ্রব্যগুলোর মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।

ওদিকে, আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতাগণ এ সকল দ্রব্যের সরবরাহ মুক্ত করার জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন।