আরও কমলো টাকার মান

ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ১০ পয়সা কমেছে। মঙ্গলবার প্রতি ডলার ৯২ টাকা ৯০ পয়সা দরে বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার ডলারের দর ছিল ৯২ টাকা ৮০ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসের ব্যবধানে ১০ দফা বাড়ানো হয়েছে ডলারের দাম। এই সময়ে টাকার মান কমেছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা। এখন আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হবে ৯২ টাকা ৯০ পয়সা। নিয়ম অনুযায়ী এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। গত মাসে ডলারের দাম বেড়ে খোলাবাজারে ১০২ টাকা অতিক্রম করে রেকর্ড গড়েছিল। পরে কিছুটা কমে বর্তমানে খোলাবাজারে ৯৭ থেকে ৯৯ টাকায় ডলার বেচাকেনা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলারের সংকট শুরু হয়, যা এখনো অব্যাহত আছে।

২০২১ সালের আগস্টের শুরুতেও আন্তব্যাংকে প্রতি ডলারের মূল্য একই ছিল। তবে গত বছরের ৩রা আগস্ট থেকে ১-২ পয়সা করে বাড়তে বাড়তে গত বছরের ২২শে আগস্ট প্রথমবারের মতো ডলারের দাম ৮৫ টাকা ছাড়ায়। অবশ্য চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কেনাবেচা হয়েছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা, যা ৯ই জানুয়ারি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা। গত ২৩শে মার্চ তা বেড়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় বেচাকেনা হয়। ২৭শে এপ্রিল ডলারপ্রতি ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে। ১০ই মে ডলারপ্রতি আরও ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে। ১৬ মে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কেনাবেচা ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর ২৩শে মে আবারও ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
এরপর ২৯শে মে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৯ টাকা বেঁধে দেয়। গত ২রা জুন আরও ৯০ পয়সা বাড়িয়ে ডলার দাম ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। ১৫ই জুন ডলার দাম ছিল ৯২ টাকা ৮০ পয়সা। মঙ্গলবার ডলার প্রতি দাম বেড়ে ৯২ টাকা ৯০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে, যা ডলারের দামের সর্বোচ্চ রেকর্ড।