মিরসরাই প্রতিনিধি :::
মিরসরাইয়ের নাপিত্তাছড়া ঝরনায় দুর্ঘটনার শিকার তিন ছাত্রের মধ্যে তৃতীয়জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল ১১টার উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের একটি ছড়া থেকে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র তৌফিক আহম্মেদ তারেকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত রবিবার (১৯ জুন) রাতে উদ্ধার করা হয় তাঁর বন্ধু ইশতিয়াকুর রহমান এবং সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উদ্ধার করা হয় তারেকের বড় ভাই ইউএসটিসি’র ছাত্র মাসুদ আহম্মেদ তানভীরের মরদেহ।
তারেকের বন্ধু ফুয়াদ হাসান জানান, তারেকের মরদেহ খালে ভেসে যেতে দেখে স্থানীয় জনতা রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে তারেকের বন্ধুরা খোঁজ পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এই পর্যন্ত নিখোঁজ তিনজনেরই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে ঝরনা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাগল খাইয়া খালে শাহেরখালী খালের মুখ থেকে ভাসমান অবস্থায় তারেকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পানিতে ডুবে থাকার কারণে তারেকের শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরেছে। এর আগে ইশতিয়াকুর রহমান প্রান্ত ও মাসুদ আহম্মেদ তানভীরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার নাগাদ মিরসরাইয়ের নাপিত্তারছড়া ঝরনার চূড়ায় উঠে পড়ে যায় দুই সহোদর তানভীর, তারেক ও তাদের বন্ধু ইশতিয়াকুর। ওইদিন রাতে ইশতিয়াকুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সোমবার বেলা ১২টা থেকে নিখোঁজ দুই সহোদর তানভীর ও তারেককে উদ্ধার করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন থেকে ডুবরী দল এসে উদ্ধার কাজ চালায়। পরে গত সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার নাগাদ স্থানীয় একটি ছড়ার পানিতে নিখোঁজ তানভীরের মরদেহ পাওয়া যায়। সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার একই ছড়ার পানিতে তারেকের মরদেহ ভেসে উঠলে পুলিশ তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ইশতিয়াক জনতা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. জাকারিয়ার ছেলে। চট্টগ্রামের হালি শহর বি-বøকে তাঁর বাড়ি। আর দুই ভাই তানভীর ও তারেকের বাবার নাম শাহাবুদ্দিন। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের হালি শহরে।