সিলেটে মানবিক বিপর্যয়

বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত বসতঘরের যেখানে হাঁটুপানি ছিল শুক্রবার সকালে সেই পানি গলা পর্যন্ত ছুঁয়েছে। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানীর তীব্র সংকট।

জানা গেছে, গলা পর্যন্ত পানি ওঠায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন অনেকে। দেখা দিয়েছে ত্রাণ সংকটও। ফলে সিলেটে তৈরি হয়েছে চরম মানবিক বিপর্যয়। পানি যত বাড়ছে, সংকটও তত বাড়ছে।

মাত্রাতিরিক্ত পানি ঘরে ঢুকে পড়ায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের বাসিন্দারা। এসব এলাকায় আটকেপড়া মানুষকে উদ্ধারে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

এই দুই উপজেলার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত থেকে তাদের অনেকেরই বসতঘরের পানি কোমর থেকে গলা ছাড়িয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে অনেকে অবস্থান নিয়েছে ঘরের চালার ওপর। টানা বৃষ্টিপাত হওয়ায় ঘরের চালায় অবস্থান কারও তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আবার আশ্রয়কেন্দ্রে যে যাবে তারও উপায় নেই। কারণ তাদের কাছে নৌকা কিংবা যাতায়াতের অন্য কোনো নৌযান নেই।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর শুক্রবার সকাল ৬টার তথ্য বলছে, সুরমা নদীর দুটি ও কুশিয়ারা একটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

বানভাসিরা জানিয়েছেন, বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় অনেকে বাড়িঘরে আটকা পড়েছেন। তারা এ অবস্থা থেকে উদ্ধার চান। এ ছাড়া অনেক বন্যার্ত খাবার ও পানির সংকটে সবচেয়ে বেশি পড়েছেন। ঘরে হাঁটু থেকে গলা পানি ওঠায় অনেকে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। অনেকে ত্রাণও পাচ্ছেন না। এতে তৈরি হয়েছে চরম মানবিক বিপর্যয়। পানি যত বাড়ছে, সংকটও তত বাড়ছে।

সিলেট নগরের অন্তত ২০টি এলাকার পাশাপাশি কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, সদর, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ছয় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে কমপক্ষে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১০ লাখ মানুষ।

এদিকে দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৯ জুন অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।>> সময় টিভি