চিকিৎসা দিচ্ছেন ওয়ার্ডবয়, স্বজনের ওপর চড়াও চিকিৎসক

জরুরি বিভাগে নেই দায়িত্বরত চিকিৎসক। হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় করছেন চিকিৎসা।

রোগী চিকিৎসকের খোঁজ করায় যেন অপরাধ। হন্তদন্ত হয়ে চিকিৎসক এসে চড়াও রোগীর ওপর।
ঘটনাটি মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের।

রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা চিকিৎসকের নাম ভাস্কর। তিনি মা ও শিশু হাসপাতালের ইমাজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার পদে কর্মকর্ত আছেন।

জানা গেছে, পঞ্চান্ন বছর বয়সী আনিস উল্লাহ মাথায় আঘাত নিয়ে এসেছিলেন মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। জরুরি বিভাগে আসার পর চিকিৎসা শুরু করেন ওয়ার্ডবয়। এসময় রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকের খোঁজ করেন। পরে চিকিৎসকের কাছে সেবা না দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে স্বজনদের ওপর চড়াও হয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন ওই চিকিৎসক।

চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী আনিস উল্ল্যাহ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দুই ভাগিনাকে নিয়ে মা ও শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যাই। হাসপাতালে যাওয়ার পর আমার মাথায় সেলাইয়ের প্রয়োজন হয়। সেলাইয়ের সব জিনিসপত্র এনে দিলেও চিকিৎসক নিজে সেলাই না করে হাসপাতালের এক স্টাফ সেলাই করেন। স্টাফ খুব জোরে সেলাই করাতে আমি মারাত্মক ব্যাথা পাই। এসময় ডাক্তার উপস্থিতও ছিলেন না। পরে আমার ভাগিনা ওই স্টাফকে চিকিৎসক কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি চিকিৎসক নন বলে জানান। পরে চিকিৎসককে সেলাই না করার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাদের হেনস্তা করেন এবং সবাইকে মারধর করতে উদ্যত হন। বিষয়টি আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. নুরুল হক বলেন, ঘটনাটি শুনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। ছোট্ট একটি বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ছিল কি-না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং রোগী স্বজনকে আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। রোগীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। তারপরও যেহেতু অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।