টানা ২ জয়ে শীর্ষে পর্তুগাল

উয়েফা নেশনস লীগে পর্তুগালের শুরুটা হয়েছে সাদামাটা। স্পেনের বিপক্ষে হারতে হারতে রক্ষা পায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে ৪-০ গোলে হারিয়ে দাপুটে প্রত্যাবর্তন করে ফার্নান্দো সান্তোসের দল। এবার চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে সহজ জয় পেলো পর্তুগিজরা। বৃহস্পতিবার রাতে লিসবনে চেক রিপাবলিককে ২-০ গোলে হারায় রোনালদোরা। টানা দুই জয়ে ‘এ’ লীগের ২ নাম্বার গ্রুপের শীর্ষে উঠলো পর্তুগাল।

৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে পর্তুগাল। ৩ ম্যাচে ১ জয় ও ২ ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে স্পেন। তিনে থাকা চেক প্রজাতন্ত্রের পয়েন্ট ৪। সবকটি ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে সুইজারল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার রাতে জোয়াও কানসেলোর গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। এরপর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গঞ্জালো গুদেস।

দুটি গোলই হয় প্রথমার্ধে।
সহজ জয় পেলেও দলের খেলায় সন্তুষ্ট নন সান্তোস। পর্তুগাল কোচ মনে করেন, আরো দুটি গোল হতে পারতো। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘২০ মিনিটের মধ্যে খেলা গুছিয়ে ফেলি আমরা। বল দখলে রেখে গভীরে (আক্রমণে) যেতে পেরেছি। আমরা দুই গোল করেছি, তবে আরো দুটি গোল পেতে পারতাম। ম্যাচে কর্তৃত্ব থাকলেও আমাদের আক্রমণে ধার কম ছিল।’

সান্তোস বলেন, ‘গোল হজম না করাটা গুরুত্বপূর্ণ। দারুণ ফল পেয়েছি। প্রথম ২০ মিনিট খেলা আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল, তবে আমরা সুযোগ তৈরি করতে পারছিলাম না। যদিও চেক প্রজাতন্ত্রকে কোনো কাউন্টার-অ্যাটাক করতে দিইনি আমরা।’

দলের পারফরম্যান্সে হতাশ চেক রিপাবলিক কোচ জেরোস্লাভ সিলহ্যাভি। তিনি বলেন, ‘স্পেনের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছি, আজ আমরা সেভাবে খেলতে পারিনি। আজ দুটো ভুলে দুই গোল হজম করতে হয়েছে আমাদের। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা তুলনামূলক ভালো খেলেছি, সুযোগ তৈরি করেছি। এটা দুঃখজনক যে আমরা গোল করতে পারিনি। আমরা এর চেয়ে ভালো করতে পারতাম।’
২০১২ সালের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেখা হলো পর্তুগাল ও চেক প্রজাতন্ত্রের। এখন পর্যন্ত মোট চারবার দেখা হয়েছে দুদলের। ১৯৯৬ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারানোর পর আর কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি রিপাবলিকানরা।