বাহরাইনের কাছে ২ গোলে হার বাংলাদেশের

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৯৯ ধাপ এগিয়ে বাহরাইন। এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দলটির বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশা ছিল না বাংলাদেশের। খেলার ধরন থেকে অন্তত তাই মনে হয়েছে। গতকাল এশিয়ান কাপের বাছাইপবে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে হারের ব্যবধান আরো অনেক বেশি হতে পারতো। গোলরক্ষক জিকোর দুর্দান্ত কিছু সেভের জন্য স্কোরলাইন আর বৃদ্ধি পায়নি। বাহরাইন দুইটি গোলই আদায় করে প্রথমার্ধে। এর আগে ১৯৭৯ সালে বাহরাইনের সঙ্গে খেলা একমাত্র ম্যাচেও ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।
কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ৪-১-৪-১ ছকে খেলেছে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার দল। এই ম্যাচে খেলেছে ইন্দোনেশিয়া ম্যাচের একাদশই।

যদিও লাভ হয়নি তাতে। ৯৯ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইন বলের দখল নিয়ে নেয় শুরুতেই। একের পর এক আক্রমণ হেনে ব্যতিব্যস্তও করে রাখে জামালদের। বাহরাইন ম্যাচের দশম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো। পারেনি জিকোর দৃঢ়তায়। মাহাদি ফয়সালের কর্নার থেকে আমিনে মোহামেদ বেরাদ্দির হেড ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক জিকো। ফিরতি বলটি ক্লিয়ার করেন ফাহাদ। ১৯ মিনিটে হাসান আলআসওয়াদের বক্সের বাইরে থেকে নেয়া জোরালো শট আবার ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক জিকো। ২৩ মিনিটে হাসান আলআসওয়াদের ফ্রি-কিক গোলরক্ষের গ্লাভসে জমা পড়ে। পরের মিনিটে আলী আব্দুল্লাহ হারামের শট প্রতিহত করেন গোলরক্ষক। প্রতি আক্রমণে উঠে ভড়কে দেয়ার চেষ্টা ছিল বাংলাদেশেরও। ২৭ মিনিটে রাকিব হোসেনের বাম প্রান্তের ক্রসে সাজ্জাদ মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন। দুই ডিফেন্ডার তাকে ব্লক করে রাখে। যা ছিল জামালদের প্রথম সুবর্ণ সুযোগ। ৩ মিনিট পর এগিয়ে যায় বাহরাইন। হাসান আলআসওয়াদের কর্নার থেকে আলী আব্দুল্লাহ হারাম হেডে গোল আদায় করেন। ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকার চেষ্টা করলেও দলকে রক্ষা করতে পারেননি। বাহরাইন ব্যবধান দ্বিগুণ করে ম্যাচের ৪২তম মিনিটেই। জামাল বা রাকিব কেউই ঠিকমতো হেডটি ক্লিয়ার করতে পারেনি। বল চলে আসে বক্সের বাইরে থাকা হাসান আলআসওয়াদের পায়ে। এই মিডফিল্ডার চকিতে গড়ানো শটে জালে জড়িয়ে দেন বল। জিকো ঝাঁপিয়ে পড়েও প্রতিহত করতে পারেননি। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ বিরতির পর রক্ষণাত্মক খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। এই অর্ধে সোহেল রানা, জাফর ইকবাল, মেরাজ হোসেন ও পাপন সিংহ মাঠে নামেন। লাল-সবুজ জার্সি গায়ে এটি পাপনের প্রথম ম্যাচ। কিন্তু তার অভিষেকটা জয়ে রাঙানো যায়নি দলীয় ব্যর্থতায়। কাবরেরার দল ফলাফলে আর হেরফের করতে না পারলেও ৫৫ মিনিটে সুযোগ তৈরি করেছিল বাহরাইন। কিন্তু আব্দুল্লাহ ইউসুফ হেলাল গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। জিকো ঝাঁপিয়ে পড়ে তা রুখে দিয়েছেন। প্রতি আক্রমণে উঠে বাংলাদেশও পারেনি প্রতিপক্ষকে চমকে দিতে। বাহরাইনের হাফ লাইনে গিয়ে কখনও কখনও খেই হারিয়েছে। আবার প্রেসিংয়ে হারিয়েছে বলের দখল। বাহরাইন অবশ্য প্রথমার্ধের মতো সেভাবে চাপ দিয়ে খেলেনি। নিজেদের স্টাইলে খেলে ম্যাচ শেষ করার প্রবণতা ছিল তাদের মধ্যে। ম্যাচের যোগ করা সময়ে বাহরাইনের পক্ষে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। গোলরক্ষক জিকো বল ক্লিয়ার করে দলকে রক্ষা করেন। আগামী ১১ই জুন তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।