ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে পানি-বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় সড়ক অবরোধ

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার এলাকায় প্রায় দুইঘন্টা সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচলে বাধা দিয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধ বসবাসকারী লোকজন।

আজ রবিবার (৫ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করলে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এসময় সড়কের উপর অবস্থান নিয়ে মেয়র আ জ ম নাছিরের ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা।

 অবরোধের কারণে বিশাল যানজট।

অভিযোগ উঠেছে- নগরীর লালখান বাজার মতিঝর্ণাসহ একাধিক পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে গতকাল শনিবার ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃেত্বে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগে নেতা দিদারুল আলম মাসুম ও মহানগর বিএনপি নেত্রী, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনির নেতৃত্বে অবৈধ বসবাসকারীরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বাধা দেন।

.

তারা সেখানে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই নেতার হস্তক্ষেপে অবৈধভাবে নেয়া বিদ্যুৎ ট্রান্সফামারটি চীজ করতে বাধা দেয়।

তাদের বাধার কারণে ওয়াসা ও পিডিবির লোকজন সহ জেলাপ্রশাসনে কর্মকর্তা অভিযান শেষ না করেই ফিরে যান।

মেয়র আ জ ম নাছিরের ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে মিছিল।

এদিকে আজ দুপুরে এই ইস্যূতে পাহাড়ে অবৈধভাবে ঝুঁকির মধ্যে বসবাসকারীরা দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর ব্যস্ততম মোড়টি অবরোধ করলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় চারিদিকে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়। এ যানজট সড়ক ছাড়িয়ে বিভিন্ন অলি-গলিতে ছড়িয়ে পড়ে। গরম ও যানজটে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।

সড়ক অবরোধ চলাবস্থায় ইস্পাহনীর মোড়ে আইল্যান্ডের ওপর দাড়িয়ে পাহাড়ে বসবাসকারী ও আন্দোলনকারী বিএনপির নেত্রী মনোয়ারা বেগম মনিকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়।

অবরোধকারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি নেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি।

খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের সড়ক থেকে তুলে দিয়েছে। প্রায় দুই ঘন্টা পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সড়ক অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলশী থানার ওসি (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। পরে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। এবং যানচলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।