কর্ণফুলীর ডাঙ্গারচরে ২৮ বছরেও গড়ে উঠেনি আশ্রয় কেন্দ্র

জে.জাহেদ:
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গারচরবাসী ১৯৯১ সালের ভয়াল ২৯ এপ্রিলের সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ম্যারি এন-এর পর ২৮ বছর পার করলেও জুলধা ডাঙ্গারচরে দূর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র ও বেঁড়িবাধ এখনো গড়ে উঠেনি।
যার ফলে প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় আতংক কাটে উপকূলে বসবাস করা জুলধা ডাঙ্গারচরের প্রায় ২০ হাজার মানুষের।
দূর্যোগকালিন ও পরবর্তী সময়ে করনীয় বিষয় প্রশিক্ষণ দিয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ও রেড ক্রিসেন্ট জনসচেতনতা সৃষ্টি করলেও অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে হতাশায় পুরা গ্রামবাসী।
এ অবস্থায় পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও দ্রুত টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছে উপকূল বসবাস করা এলাকাবাসী। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে প্রলয়ংকারী সুপার সাইকোন সিডর আছড়ে পড়ে জুলধা ডাঙ্গারচর উপকূল সহ উপজেলার নদীপাড়ের বসতি গড়া মানুষের উপর। ছিন্নভিন্ন হয় মানুষের বসত ঘর।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৮-৯ ফুট উচ্চতায় বেড়ে গেলে মানুষের জীবনমান ও চলাচল অচল হয়ে পড়েছিলো তখন।
এছাড়াও ১৯৯১ সালের কঠিন সেই জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় এ জনপদের হাজার হাজার বাড়ি ঘর, পাশাপাশি মারা যায় শতাদিক নারী পুরুষ ও শিশু। এ দুঃখ আর দৃশ্য এখনো ভূলেনি তাঁরা। পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেন্টারের অভাবে তৎকালিন এ অঞ্চলে প্রাণহানির পরিমাণ বেশি ঘটেছিল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।