চট্টগ্রামে বাড়ছে বাতাসের গতিবেগ

ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে চট্টগ্রামে প্রচণ্ড বাতাস বইছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, শনিবার (৪ মে) সারাদিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকতে পারে। যেকোনো সময় ঘূর্ণিঝড়টি আগের তুলনায় অনেকটা দুর্বল হয়ে আঘাত হানতে পারে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৮ লাখ লোকের জন্য ২ হাজার ৭৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়। শনিবার (৪ মে) ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৫৪৬ জন লোক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

রেড ক্রিসেন্টের ১০ হাজার ও সিপিপির ৬ হাজার ৬৬০ স্বেচ্ছাসেবক, ২৮৪টি মেডিকেল টিম, পর্যাপ্ত ওষুধ, ৫০ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং ১ হাজার ৪০০ পিস হাইজিন কিডস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও সহায়তা দিতে নগদ অর্থ, ৪২৭ মেট্রিক টন চাল, ৭০০ বান্ডিল ঢেউটিন, ৬ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত রেখেছে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এছাড়া ২৭টি পানিবাহী গাড়ি, ৭২টি টু-হুইলার, ৩০টি টানা গাড়ি, ৮টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস।

আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।উপকূলবর্তী এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে রেডক্রিসেন্ট কর্মীদের সঙ্গে শুকনো খাবার বিতরণ করছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। পাশাপাশি চসিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগও রাখছেন তিনি।