মা মাছ স্বল্প পরিমাণ ডিম ছেড়েছে

দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হাটহাজারী হালদা নদীতে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কার্প জাতীয় মা মাছ স্বল্প পরিমাণ ডিম ছেড়েছে। গতকাল দিবাগত রাতে নদীতে মাছ নমুনা ডিম ছাড়ে। ডিমের নমুনা দেখে ডিম আহরণকারীরা রাতভর মা মাছ নদীতে ডিম দেবে এই প্রত্যাশায় নদী পাহারায় বসে ছিল। কিন্তু রাতে ডিম ছাড়েনি। এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে নদীতে মা মাছ সাংকেতিক ডিম ছাড়ে। এটা নমুনা ডিম ছাড়ার পূর্বাভাস বলে ডিম আহরণকারীরা মন্তব্য করেন। গতকাল পূর্ণিমার তিথি / জো ছিল। গত বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ণিমার জোয়ার শুরু হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যে পরিমাণ মা মাছ ডিম ছেড়েছে তা গত বছরের তুলনায় কম। এতে করে ডিম আহরণকারীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
সরজমিনে হালদার পাড়ে দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলা ফালগুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে কর্ণফুলী, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, চাঁনখালী, চেংখালী, সোনাইখাল, কুমারখালী, বোয়ালিয়া, সর্ত্তাখালসহ বিভিন্ন নদী, খাল ও ছড়া থেকে মা মাছ হালদা নদীতে ছুটে আসে ডিম ছাড়তে

এবার নদীর উপরিভাগ থেকেও বৃষ্টি বা ঢলের প্রকোপ দেখা দেয়নি। ঢলের প্রকোপ না থাকায় হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছেড়েনি। কার্প জাতীয় মা মাছ নদীতে ডিম ছাড়ছে। ডিম থেকে রেণু ফোটানোর জন্য প্রশাসন হাটহাজারী অংশে সরকারি ভাবে স্থাপিত মদুনাঘাট, মাছুয়াঘোনা, শাহামাদারী হ্যাচারী ও নয়াহাট এলাকায় প্লাস্টিকের কুয়াগুলো সংস্কার করে ডিম ফোটানোর জন্য তৈরি করে রেখেছেন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল আলম বলেন, এবার ডিম ছাড়ার মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি না হওয়ায় ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ না পেয়ে ডিম ছাড়ার পরিমাণ কমে গেছে। সামনে পরিবেশ অনুকূলে থাকলে পরের তিথিতে মা মাছ নদীতে ডিম ছাড়তে পারে। হালদা রক্ষার জন্য নানা উদ্যোগ নেয়ার পরও নদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিম ছাড়েনি মা মাছ।