ঘূর্ণিঝড় ফনি থেকে রক্ষার জন্য বিশেষ মোনাজাত করেছেন আহমদ শফী

প্রবল বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ফনির তাণ্ডব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য বিশেষ মোনাজাত করেছেন দারুল উলূম হাটহাজারীর মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আল-মাদরাসাতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাঠে ইসলামি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে বিশেষ মোনাজাত করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় শুনেছি, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ভারতে আঘাত হানার কথা ছিল। সেটি নাকি এখন বাংলাদেশের দিকে আসছে। আপনারা সবাই আল্লাহ পাকের দরবারে দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন। আল্লাহ যাতে আমাদের মোনাজাত কবুল করেন।

উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ এক সপ্তাহ আগে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। এর নাম হয় ফনি। এই ঝড়ের আশঙ্কায় বাংলাদেশের নাগরিকরা উদ্বেগে সময় পার করছে। উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সারা দেশে নৌচলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফনি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল

আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, আগামীকাল সন্ধ্যায় এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। ‘উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।’

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।