রেলমন্ত্রীর ‘আত্মীয় পরিচয়’ দিয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জরিমানার ঘটনায় রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করেছে রেলওয়ে কর্তপক্ষ।
রোববার (৮ মে) দুপুর ১২টায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ‘রেলমন্ত্রীর আত্মীয়’ পরিচয়ে বিনা টিকিটের তিন ট্রেন যাত্রীর সঙ্গে ‘অসদাচার’ এবং জরিমানা করার দায়ে টিটিইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। রেলমন্ত্রীর আত্মীয়ের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটার কয়েক ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (৫ মে) সন্ধ্যায় ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের নির্দেশে তাকে মোবাইল ফোনে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জানানো হয়। ৬ মে শুক্রবার থেকে এ আদেশ কার্যকর হয়।
রেলওয়ে বিভাগের একাধিক সূত্রে জানা যায়, ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ৫ মে রাতে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে তিনযাত্রী বিনা টিকিটে এসি কেবিনে চেপে বসেন। এসময় ট্রেনের কর্তব্যরত টিটিই শফিকুল ইসলাম তাদের কাছে টিকিট দেখতে চাইলে তারা রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেন। টিটিই বিষয়টি পাকশী বিভাগীয় রেলের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (এসিও) নুরুল আলমের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি সর্বনিম্ন ভাড়া নিয়ে টিকিট কাটার পরামর্শ দেন। এসিও’র পরামর্শ অনুযায়ী টিটিই শফিকুল ইসলাম ওই তিন ট্রেনযাত্রীকে এসি টিকিটের পরিবর্তে ঈশ্বরদী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৩৫০ টাকা করে মোট ১০৫০ টাকায় জরিমানাসহ সুলভ শ্রেণির নন এসি কোচে সাধারণ আসনের টিকিট বানিয়ে দেন।
সূত্র জানায়, ওই তিন যাত্রী তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেনে লিখিত কোনো অভিযোগ না করলেও তারা ঢাকায় পৌঁছে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে টিটিই শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ করার অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ পেয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন সংশ্লিষ্ট টিটিইকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিয়েছিলেন।
শাস্তি প্রত্যাহরের পর শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি রেলওয়ের জন্য কাজ করি, দেশের জন্য কাজ করি। যেহেতু আবার চাকরিতে যোগদানের সুযোগ দিয়েছে, আমি খুশি।











