:
ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মূল জেটি থেকে সব জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হস্পতিবার (২ মে) সকাল ১০টা থেকে জেটি জাহাজশূন্য করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুপুরের মধ্যে এনসিটি, সিসিটিসহ জেনারেল কার্গো বার্থের জাহাজগুলো একে একে সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শুধু ১ নম্বর জেটিতে একটি জাহাজে সিমেন্ট ক্লিংকার খালাসের কাজ চলতে দেখা যায়। সেটিকেও বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
>> মোংলায় ৭, চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত
>> ঘূর্ণিঝড় ফণী: চট্টগ্রাম বন্দরে জরুরি সভা
>> ঘূর্ণিঝড় ফণী: বিচিং জাহাজগুলোর জন্য বিশেষ নির্দেশনা
জেটি জাহাজশূন্য করার পাশাপাশি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, শোর ক্রেন, আরটিজি, স্ট্র্যাডেল ক্যারিয়ারসহ সব ধরনের কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট বুম আপ করে অ্যাংকর করার প্রস্তুতি চলছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে যাতে আমদানি-রফতানি পণ্যভর্তি কনটেইনারের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১ মে) সকাল আটটায় চট্টগ্রাম বন্দরে মোট জাহাজ ছিল ১৬৮টি। এর মধ্যে বহির্নোঙরে ছিল ১৪৭টি, রিভারমুরিং ও স্পেশাল বার্থে ছিল ৫টি, প্রধান জেটিতে ছিল ১৬টি। মূল জেটির জাহাজের মধ্যে কনটেইনারবাহী ছিল ১১টি, সাধারণ পণ্যবাহী ছিল ৩টি ও সিমেন্ট ক্লিংকারবাহী ছিল ২টি। রিভারমুরিং ও স্পেশাল বার্থে ছিল খাদ্যশস্যের ১টি, সারবোঝাই ২টি, ক্লিংকারবাহী ১টি ও তেলবাহী ১টি। বহির্নোঙরে কনটেইনারবাহী ছিল ৮টি, সাধারণ পণ্যবাহী ১৪টি, খাদ্যশস্যের ৮টি, ক্লিংকারের ১৮টি, চিনির ৪টি, লবণের ১টি, অয়েল ট্যাংকার ৬টি।
বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক সংকেতের ওপর নির্ভর করে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশন ধাপে ধাপে বন্ধ করা হয়। সর্বশেষ চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ী বন্দর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্যসচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক সংকেতের ওপর ভিত্তি করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করেছে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের সব জেটি ও বহির্নোঙরে পণ্য বা কনটেইনার হ্যান্ডলিং বন্ধ রয়েছে। বন্দরে নতুন করে কোনো লরি, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যেগুলো আগে ঢুকেছে সেগুলোকে পণ্য সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে।