আত্মোৎসর্গের পথ বেয়ে আবার ফিরে এসেছে মে দিবস

শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান ও চিকিৎসার নিশ্চয়তার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গনি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, মেহনতি জনতার প্রত্যয় দীপ্ত ঐক্যের মহিমায় আত্মোৎসর্গের পথ বেয়ে আবার ফিরে এসেছে মে দিবস।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) ১ মে ‘মহান মে দিবস’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির নেতারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ১৮৮৬ সালের পহেলা মে’র ঘটনার পর তো কত যুগ পেরিয়ে গেলো। কিন্তু এই পৃথিবীতে শ্রমিকদের অধিকার কতটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? ২০২২ সালে এসে আমরা যদি পর্যালোচনা করি তাহলে দেখবো, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানাভাবে নানা মাত্রায় শ্রমিক শ্রেণি এখনো শোষিত-বঞ্চিত হচ্ছে।

নেতারা বলেন, ন্যূনতম অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রমিকদের এখনো লড়াই-সংগ্রামে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। তবে সংগ্রামের অব্যাহত ধারায় শ্রমিকরা এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্পের দিকে নজর দিলে উপলব্ধি করা যায় এখানে শ্রমিকরা কীভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। বঞ্চনার কারণে প্রায়ই গার্মেন্ট শিল্পে ধর্মঘট, জ্বালাও-পোড়াও ও ভাঙচুরের ঘটনা লক্ষ্য করা যায়।

আর শ্রমিকদের বঞ্চনার জন্য কোনো কোনো মালিক যেমন দায়ী, তেমনি দায়ী একশ্রেণির শ্রমিক নেতাও। আবার দেশের গার্মেন্ট শিল্পের বিরুদ্ধে রয়েছে বিদেশি ষড়যন্ত্রও। এসব নানা কারণে দেশের গার্মেন্ট শিল্পে শ্রমিক ও মালিকের স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে। শিল্পে শ্রমিক-মালিকের ন্যায্য স্বার্থ প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার ব্যাপারে নানা তত্ত্বের দায়ও কম নয়।

যে শ্রমিকের শ্রম মেধায় মানব সভ্যতার বিকাশ, উত্থান ও মালিকদের বিত্ত-বৈভব, সেই শ্রমিককে ঝুকির মাঝে ফেলে ছাঁটাই করে, অর্ধাহারে অনাহারে রেখে, মে দিবসের মর্যাদা রক্ষা করা যায় না। আসলে আমরা শ্রম বা শ্রমিকের মর্যাদা বুঝেও বুঝতে চাই না। একজন মানুষের জীবনধারণের জন্য যা যা প্রয়োজন, অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এসবই একজন শ্রমিকের প্রাপ্য। আর এটাই হচ্ছে শ্রমিকের প্রকৃত মর্যাদা।