কিয়েভে ধ্বংসাবশেষ দেখলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের চারপাশ ঘুরে দেখলেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ। এ সময় তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে যুদ্ধ হলো হাস্যকর, উদ্ভট বিষয়। তিনি কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বোরোদিয়াঙ্কায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের কয়েকদিন পরে তিনি এই সফরে গেলেন। সেখানে তিনি বলেছেন, মারিউপোলে মানবিক উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করতে চান। ওদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউরোপের বিরুদ্ধে গ্যাস এবং বাণিজ্যকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রোম পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করার পর এক বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এ ঘটনাকে ব্লাকমেইল বলে আখ্যায়িত করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ওদিকে বোরোদিয়াঙ্কা এবং বুচা সফর শেষে জাতিসংঘের মহাসচিব ইরপিনে থামেন। পুরো পথে দেখেছেন ধ্বংসাবশেষ

দোকানপাট, বাড়িঘর, অবকাঠামো বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত। এখানেই কিয়েভের খুব কাছে বড় ভূখ- রাশিয়ার সেনারা তাদের দখলে রাখে। বৃহস্পতিবার সকালের সূর্য্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় জীবনের কিছুটা লক্ষণ দেখা যায়। রাস্তার পাশে ছোট্ট মার্কেটে টেবিলের ওপর সাজিয়ে রাখা হয়েছে শূকরের মাংস। বুচার ভোকসালনা স্ট্রিটে লোকজন বিদ্যুতের লাইন মেরামত করছিলেন। কিন্তু এসব শহর, জনপথ সীমাহীন দুর্ভোগ হয়েছে। কিয়েভ অঞ্চলে সামরিক প্রশাসনের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওলেক্সান্দার পাভিয়ুক বলেছেন, কি ঘটেছে, রাশিয়া কি ধ্বংসলীলা চালিয়ে তা অ্যান্তনিও গুতেরাঁর নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করা ও দুর্ভোগের কথা মানুষের মুখ থেকে শোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুড়ে কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে একটি হাউজিং কমপ্লেক্স। তার সামনে দাঁড়িয়ে গুতেরাঁ বলেন, যেখানেই যুদ্ধ হয়, সেখানেই নিরাপরাধ মানুষ সবসময়ই কি উচ্চমূল্য দিয়ে থাকেন! এ সময় তিনি শব্দ চয়নে সতর্ক থাকেন। যুদ্ধ নিয়ে সাধারণ কথাবার্তা বলেন। যুদ্ধের জন্য সরাসরি রাশিয়াকে দায়ী করেননি অথবা রাশিয়ার সমালোচনা করেননি। এসব প্রত্যক্ষ করে জাতিসংঘের মিশন কিয়েভে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাত করতে ছোটে। তবে এর আগে গুতেরাঁ মস্কো সফর করেন। তার সেই সফরের সমালোচনা করেন জেলেনস্কি।
ওদিকে রাশিয়া অভিযোগ করেছে ইউক্রেনকে রাশিয়ায় হামলা চালাতে প্রকাশ্যে পশ্চিমারা আহ্বান জানাচ্ছে। ক্রেমলিনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভ এ কথা বলেছেন। এর আগে রাশিয়ায় ইউক্রেনের টার্গেট করে হামলাকে বৈধতা দিয়ে বক্তব্য রাখেন বৃটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। এরপরই ক্রেমলিন ওই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। মারিয়া জাখারোভ পশ্চিমাদের সতর্ক করে দিয়েছেন। বলেছেন, তাদের ভূখ-ে হামলা চালালে মস্কো তার কঠোর জবাব দেবে। বুধবার রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে অস্ত্রের গুদামে বেশ কয়েক দফা হামলার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।