খেজুর আমদানির ঘোষণা দিয়ে বিদেশি সিগারেট

নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৬এপ্রিল নগরীর কোতোয়ালী থানার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূচনা ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে খেজুর আমদানির ঘোষণা দিয়ে বিদেশি সিগারেট এনেছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চালানটি আটক করেছে। এসময় একটি কন্টেইনারে ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৪০০ শলাকা বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করে কাস্টমসের কর্মকর্তারা। সিগারেটের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এই চালানে ৭ কোটি ১১ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিঞা এ তথ্য জানান। কাস্টমসের তথ্য মতে, চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূচনা ইন্টারন্যাশনাল সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে খেজুর ঘোষণায় এক কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে। এরপর আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়। এরপর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় রপ্তানিকারক, রপ্তানিকারকের ওয়েবসাইট, তৈরি দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের বর্ণনা প্রভৃতি বিশ্লেষণ করে চালানে অসত্য ঘোষণায় পণ্য আমদানির বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। পরে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখা চালানটির খালাস কার্যক্রম স্থগিত করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে। কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিঞা বলেন, পণ্য চালানটি ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। দীর্ঘদিন পার হলেও আমদানিকারক বিল অব এন্ট্রি দাখিল না করায় কায়িক পরীক্ষার লক্ষ্যে রবিবার সংশ্লিষ্ট কন্টেইনারটি ফোর্স কিপ ডাউন করার জন্য ইস্পাহানি সামিট অ্যালায়েন্স টার্মিনালকে পত্র দেওয়া হয়। কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের পরিকল্পনা অনুযায়ী পণ্য চালানটি সংশ্লিষ্ট কন্টেইনার ডিপোর ভেতরে খুলে এআইআর টিম পণ্য পরীক্ষা করে। পরীক্ষায় দেখা যায় কন্টেইনারে রাখা ২ হাজার ৭৭২টি কার্টনের মধ্যে ১ হাজার ৯৮৩টি কার্টনে সুকৌশলে প্যাকেটের ভেতরে উপরের দিকে খেজুর ও নিচে লুকায়িত মন্ড ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট রয়েছে। তিনি বলেন, কার্টনগুলোতে ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৪০০ শলাকা মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট এবং ১১ হাজার ৮৫৬ কেজি খেজুর পাওয়া যায়। এসব সিগারেটের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। যার মাধ্যমে প্রায় ৭ কোটি ১১ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দ্রæত চিহ্নিত করে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন।