১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে চসিকের ‘বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। আগে এ প্রকল্পে ২৫ শতাংশ চসিকের তহবিল থেকে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।
সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদনে শতভাগ সরকারি বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল খনন, খালের উভয় পাশে ২০ ফুট করে সড়ক ও ৬ ফুট করে ফুটপাত। ৬৫ ফুট প্রশস্ত হবে খালটি। ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ইতিমধ্যে ৯১১ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনকে দিয়েছে চসিক। ৫ দশমিক ৫ কিমি সড়ক ও ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল, ৯টি ব্রিজ তৈরি হবে এ প্রকল্পের অধীনে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সভার কার্যক্রমে অংশ নেন।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে চসিকের ‘বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প অনুমোদন করেছে (একনেক)। আগে এ প্রকল্পে ২৫ শতাংশ চসিকের তহবিল থেকে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদনে শতভাগ সরকারি বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর সকালে নগরের মাইজপাড়ায় চসিকের বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্প কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।











