আম লাচ্ছি

লাচ্ছির উৎপত্তিস্থল হলো পাঞ্জাবে। এর পর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষকরে এশিয়ায় লাচ্ছি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। প্রথমে দৈ আর চিনি দিয়ে লাচ্ছির প্রচলন থাকলেও

লাচ্ছির উৎপত্তিস্থল হলো পাঞ্জাবে। এর পর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষকরে এশিয়ায় লাচ্ছি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। প্রথমে দৈ আর চিনি দিয়ে লাচ্ছির প্রচলন থাকলেও

বর্তমানে আম লাচ্ছি, লেমন লাচ্ছি, পুদিনা লাচ্ছি, মধু লাচ্ছি ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের লাচ্ছি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
দেখতে দেখতে চলে গেলো ঈদের দিনটা। একে তো গরম, তারওপরে নিশ্চয়ই দিনভর হয়েছে গুরুপাক খাওয়াদাওয়া। এক মাস সিয়াম সাধনার পর শরীরের কিন্তু বেশ খানিকটা সময় প্রয়োজন নিজেকে নতুন খাদ্যাভ্যাসের সাথে মানিয়ে নেবার জন্য। রাতের বেলা ভারি খাবার খেতে না চাইলে চেখে দেখতে পারেন এই আমের লাচ্ছি। বানাতে সহজ, খেতে ভালো, আর হজমের গণ্ডগোল হবার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

আমের লাচ্ছির উপকারীতাঃ
পুষ্টিবিদরা সবসময়ই দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। টক দই একটি ল্যাক্টিক ফারমান্টেড খাবার| টক দই একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। এতে আছে দরকারী ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন ইত্যাদি| এটি দুগ্ধজাত খাবার ও দুধের সমান পুষ্টিকর।

ফলের রাজা আমে রয়েছে আঁশ, ভিটামিন, আয়রন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আম হজমে সহায়তাকারী ফল । আম পটাশিয়ামের একটি সমৃদ্ধ উৎস।

উপকরণঃ
আম- ১ টা
চিনি- ১ টেবিল চামচ
দই- আধা কাপ কাপ
ঠাণ্ডা পানি- আধা কাপের কম
জাফরান দানা- ২/৩ টি
এলাচ গুঁড়ো- ১ চিমটি
বাদাম কুচি- আধা চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালী
– আম ভাল করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন।
– ব্লেন্ডারে আম ব্লেন্ড করে নিয়ে কাঁচের বাটিতে ঢেলে ফেলুন। এবারে দই, চিনি আর বরফ কুচি একসঙ্গে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন।ই
– দইয়ের মিশ্রণে আম ঢেলে আরও একবার পুরোটা একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ফেলুন।
– সবশেষে গ্লাসে ঢেলে এলাচ গুঁড়ো, জাফরান দানা ও বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিন
– পরিবেশন করুন ঠাণ্ডা সুস্বাদু আমের লাচ্ছি