‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২২’ সংসদে পাস

বন্দর এলাকায় দূষণে জেল-জরিমানার বিধান রেখে ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২২’ সংসদে পাস হয়েছে। এই আইনের লঙ্ঘন হলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের শাস্তি এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে সেটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এ অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
১৯৭৬ সালের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন এ বিলটি আনা হয়।
বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে (যার শাস্তি উল্লেখ নেই এমন ক্ষেত্রে) সর্বোচ্চ ছয় মাসের শাস্তি এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হবে। বন্দরের ভাড়া ও টোল আদায়ের বিষয়ে সরকারের কাছে অনুমোদন নিয়ে তফসিল করতে হবে। এক লাখ টাকা পর্যন্ত আদায়যোগ্য ভাড়া, টোল, রেইট, ফি ও মাশুল মওকুফের ক্ষেত্রে অনুমোদন নিতে হবে না।

বিলে আরও বলা হয়, একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অনধিক চার সদস্যের একটি পরিচালনা প্রশাসন বোর্ড থাকবে। প্রতি দুই মাসে অন্তত একটি বোর্ড সভা করবে। বন্দর এলাকায় কোনো জাহাজ বা যান্ত্রিক উপকরণের কারণে যদি বর্জ্য তৈরি হয়। তবে, তার মালিককে বা মাস্টারকে বা প্রতিনিধিকে তা অপসারণ করতে হবে। অপসারণে সময়সীমা অতিক্রম করলে মাশুল দিতে হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সেই বর্জ্য অপসারণ করবে। এজন্য যে খরচ হবে তার দ্বিগুণ দায়ীকে দিতে হবে।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো ভাড়া, জরিমানা, ফি, টোল, মাশুল বা ক্ষতিপূরণ অনাদায়ী থাকলে বন্দর কর্তৃপক্ষ তার নিয়ন্ত্রণে থাকা দায়ী পণ্য নিলাম করে অর্থ আদায় করতে পারবে। কোনো জাহাজের মাস্টার, বা জাহাজে কর্মরত কারো অবহেলার কারণে যদি ডক, পিয়ার বা কোনো স্থাপনা বা কর্তৃপক্ষের কোনো ক্ষতি হয় তাহলে ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে। অপরাধগুলো মোবাইল কোর্টে বিচার করা যাবে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোনো আদালত এই বিলে উল্লেখিত কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তা বিচারার্থে গ্রহণ করবে না।