কয়েকগুন বেশিতে ইঞ্জেকশন

এক প্যাকেটে ১০টি ইঞ্জেকশন (অ্যাম্পুল)। পুরো প্যাকেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২৫০ টাকা। প্রতি ইঞ্জেকশনের দাম পড়ে ২৫ টাকা। কিন্তু সেটি রশিদমূলে ৭০০ টাকায় কিনেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তা।

এভাবেই সরেজমিন বাজার তদারকিমূলক অভিযান চালিয়েছেন অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস।

তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করি আমরা। নগরের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের দুইটি ফার্মেসিতে ওই ইঞ্জেকশন ৭০০ ও ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি। অভিযানের বিষয় আঁচ করতে পেরে অনেকে ফার্মেসি বন্ধ করে ফেলেন। কেউ কেউ ওই ইঞ্জেকশন বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানান।

অভিযানকালে বিসমিল্লাহ ফার্মেসি ও জীবন ফার্মেসিকে যথাক্রমে ২০  ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অপর এক অভিযানে ই‌পি‌জেড থানার ব্যাংক ক‌লো‌নি এলাকার সে‌লিম স্টোর‌কে মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জ‌রিমানা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী ধ্বংস করা হয়।

একই এলাকার ফ‌রিদা হো‌টেল‌কে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষ‌ণে ছাপানো নিউজপ্রিন্ট ব্যবহার ও মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয় সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জ‌রিমানা ও সতর্ক করা হ‌য়ে‌ছে।

ডবলমু‌রিং থানার মা ও শিশু হাসপাতাল ফা‌র্মে‌সি‌কে ২৫ টাকা মূ‌ল্যের ইঞ্জেকশন ১০০ টাকায় বিক্রির দায়ে ১০ হাজার টাকা জ‌রিমানা ও সতর্ক করা হ‌য়ে‌ছে।

অভিযানগুলোতে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ প‌রিচালক প্রিয়াংকা দত্ত, সহকারী প‌রিচালক নাস‌রিন আক্তার এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যাল‌য়ের সহকারী প‌রিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।