জমজমাট বিকিকিনির মধ্যে দিয়ে শেষ হল বইমেলা

স্টলগুলোতে পাঠকের উপচেপড়া ভিড়। শেষমুহূর্তের বিকিকিনিও জমজমাট।

অটোগ্রাফ, সেলফি, আড্ডাও ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে সবার চোখেমুখে ছিল ভাঙনের সুর। হিসাব-নিকাশ, বই কার্টনে ভরা, ব্যানার খোলায় ব্যস্ত ছিলেন অনেকে।
শনিবার (১২ মার্চ) রাতে সাড়ে ৯টায় এমন চিত্র দেখা গেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) অমর একুশে বইমেলার।

১৯ দিনের বইমেলা ২ দিন বাড়িয়ে ২১ দিন করা হয়। কিন্তু প্রকাশক ও লেখকদের চাওয়া ছিল ঢাকার মতো ১৭ মার্চ পর্যন্ত বইমেলা করা। তবে ভালো ভালো প্রকাশকদের স্টলে বিক্রি হয়েছে প্রচুর বই।

সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ঢাকার আদলে মেলার সময় বাড়ানোর জন্য। কিন্তু বাড়ানো হয়েছে মাত্র ২ দিন। ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেলা হলে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, দেশাত্মবোধক সৃজন ও মননশীল বই বিক্রি হতো বেশি।

মেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম নিপু জানান, জিমনেসিয়াম মাঠে কয়েকদিন পর সরকারি একটি মেলা অনুষ্ঠিত হবে। তাই ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেলা করার সুযোগ নেই।

শেষ দুই দিন বইমেলা মঞ্চে কোনো অনুষ্ঠান ছিল না। মেলা কার্যালয় থেকে দেওয়া হয় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকদের সনদপত্র।