রাশিয়াকে কাবু করার পাঁচ ‘ব্যবস্থাপত্র’

রাশিয়াকে যুদ্ধে পরাস্ত করতে নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা নয়-রাশিয়াকে কাবু করতে বহির্বিশ্বকে পাঁচ ‘ব্যবস্থাপত্র’ দিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা। ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযানের ঘটনায় কোবরা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রত্যক্ষ যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে থাকবেন না বলেও জানিয়েছেন বরিস। বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা।

ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালানোর ঘটনায় রাশিয়ার ওপর বড় বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা। বৃহস্পতিবার এক টুইটে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাসীর এখন দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ তিনি ইউরোপ ও বাকি বিশ্ব মিলে রাশিয়ার বিপক্ষে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, তারও একটা ‘ব্যবস্থাপত্র’ দিয়েছেন এই টুইটে। এগুলো হচ্ছে-১. দ্রুতই রাশিয়ার ওপর বড় নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। ২. সবদিক থেকে রাশিয়াকে একঘরে করে রাখতে হবে। ৩. ইউক্রেনকে অস্ত্রশস্ত্র দিতে হবে। ৪. ইউক্রেনকে অর্থ সহায়তা দিতে হবে। ৫. ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে হবে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযানের ঘটনায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে, এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। ইউক্রেন হামলা ইস্যুতে কোবরা কমিটির বৈঠক থেকেই সিদ্ধান্ত আসবে, রাশিয়ার বিপক্ষে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জি সেভেনভুক্ত দেশের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন ইস্যুতে রক্তক্ষয়ী পথই বেছে নিয়েছেন পুতিন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাজ্য ও তার মিত্ররা।’

তবে এদিন জনসন বলেন, রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে যুদ্ধের মাঠে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে না ব্রিটেন। বৃহস্পতিবার তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টে ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ফোনে এ কথা জানিয়ে দেন। জনসন বলেন, ইউক্রেনের এ ঘটনায় তিনি হতবাক। তবে দেশটির জনগণ এই হামলা প্রতিহত করতে পারবে বলে তার বিশ্বাস। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘ডাউনিং স্ট্রিট’র পক্ষ থেকে এক টুইট বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।

আজভ সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিল রাশিয়া : ইউক্রেনে হামলার পর আজভ সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে সব ধরনের বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সামুদ্রিক এবং নদী পরিবহণ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এই তথ্য দিয়েছে। আজভ সাগরে রাশিয়া ও ইউক্রেন দুদেশেরই সামুদ্রিক বন্দর রয়েছে। ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় সমুদ্রবন্দর মারিওপল-যা এই আজভ সাগরেই অবস্থিত।

রাশিয়ার সঙ্গে বেলারুশের সৈন্যও যোগ দিয়েছে : ইউক্রেনের একাধিক কর্মকর্তার বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, রুশ সেনাদের সঙ্গে বেলারুশের সেনারাও যোগ দিয়েছে হামলায়। এতে ইউক্রেনের উত্তর দিক দিয়েও আগ্রাসন চলছে। বেলারুশ ইউক্রেনের উত্তরে অবস্থিত। দেশটি রাশিয়ার বড় মিত্র। ইউক্রেন বলছে, রাশিয়ার বিশেষ দূতের মতো কাজ করছে বেলারুশ।