ধর্মধটে যাত্রী দুভোর্গ

ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মাদক তল্লাশীর নামে শ্যামলী পরিবহনের বাসের চালককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে পরিবহন ধর্মঘট । ধর্মঘটের কারনে চরম বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা। এতে করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে একাধিক যাত্রী।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটি বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও সংশ্লিষ্ট ১৯ রুট এবং চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কসহ সংশ্লিষ্ট ৮৭টি রুটে যাত্রীবাহী পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘট এবং আগামী ২৮ এপ্রিল রবিবার সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘন্টা বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলার সকল রুটে সকল ধরনের যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ির শ্রমিক ধর্মঘট আহ্বান করেছেন।

আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুছা জানান, গতমঙ্গলবার বিকালে ফেডারেশনের বৈঠক থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। আজ সন্ধ্য থেকে পরিবহন বন্ধ রয়েছে। ডিবি পুলিশ পরিচয়ধারী হত্যাকারীদের চিহ্নিতকরণ এবং তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাকা হয়েছে বলে তিনি জানান।

শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার থেকে গাজীপুরমুখী শ্যামলী পরিবহন-এনআর এর একটি যাত্রীবাহী বাস চট্টগ্রামের পটিয়া থানাধীন শান্তিরহাট এলাকা অতিক্রম করার পর একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে সাদা মাইক্রোবাসে সাদা পোশাকে থাকা একদল লোক নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গাড়ি থামায় এবং ইয়াবা আছে বলে অভিযোগ করে তল্লাশি চালায়।

বাসটির সুপারভাইজারের বরাত দিয়ে শ্যামলী পরিবহনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবস্থাপক বাবুল আহমেদ বলেন, ‘হ্যান্ডকাফ, ওয়্যারলেস সেটসহ গাড়িতে ওঠা ডিবি পরিচয়ধারী লোকগুলো তল্লাশির এক পর্যায়ে গাড়ির চালক ৫০ বছর বয়সী জামাল উদ্দিনকে বাস থেকে নামিয়ে অদূরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং ইয়াবা কোথায় আছে তা জানতে চায়। সে বাসে কোন ইয়াবা নেই জানালে তাকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়। কয়েক দফা নির্যাতনের পর তাকে আধমরা করে বাসে তুলে দিয়ে সাদা মাইক্রোবাসটি চলে যায়।

পরবর্তীতে শ্যামলীর চট্টগ্রাম কাউন্টার থেকে বিকল্প একজন চালক পাঠিয়ে বাসটি গুরুতর আহত চালককে নিয়ে চমেক হাসপাতালে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত জালাল উদ্দিনের বাড়ি দিনাজপুরে এবং তার বাবার নাম আফজাল হোসেন।