নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা করে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করায় বাদী আছিয়া খাতুনকে (৫২) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আছিয়া খাতুন, ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার পোড়াটিলা এলাকার অমূল্য দত্ত বাড়ির আবুল বসরের স্ত্রী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আছিয়া খাতুন নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত ২০২০ সালের ৯ আগস্ট চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ করা হয়। আদালত আছিয়া খাতুনের জবানবন্দি গ্রহণ করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দেন। অভিযোগটি মামলা আকারে আদালত গ্রহণ করেন। মামলায় কে এম এনায়েত উল্লাহ খোকনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত হোসেন সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মামলার আলামত জব্দের চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিযোগকারী মামলা সম্পর্কে কোনো আলামত ও স্বপক্ষে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন নি। বাদী আছিয়া খাতুনের অভিযোগে, ২০২০ সালের ১ জুলাই ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। কিন্তু চিকিৎসার কোনো প্রকার চিকিৎসার ছাড়পত্র উপস্থাপন করেননি।
মোহাম্মদ নুরুদ্দিন, নাছিমা আকতার, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মো. পারভেজ, মো. ইসমাইল ও মো. আইয়ুব প্ররোচনায় আছিয়া খাতুন মিথ্যা মামলা করেন। প্রকৃত বিষয় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কে এম এনায়েত উল্লাহ খোকনকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও জবানবন্দি গ্রহণ করেন। যেহেতু খোকনকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ৭ জন মিলে যৌথভাবে মিথ্যা মামলা করেন। পরবর্তী খোকন বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৩১ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন-২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১৭ ধারায় মামলা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দীন বলেন, নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আছিয়া খাতুন আদালতে আজ বুধবার জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।