রাউজানে এইচএসসিতে র্শীষ স্থানে চুয়েট কলেজ, মাদ্রাসায় কদলপুর হামিদিয়া মাদ্রাসা

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের রাউজানে এবারও কোনো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাসের হার নেই। যদিও ২০২০ সালের সময়ে পরিক্ষার শুরু হওয়া আগে করোনা ভাইরাসের কারণে সেই বছর এইচএসসি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। করোনার পরিস্থিতি দিনের পর দিন খারাপ হওয়া কারণে সর্বশেষ সবাইকে অটোপাস দিয়ে পাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অটোপাস বাদ দিয়ে আগের চিত্র খুঁজে দেখলে গত কয়েক বছরে শতভাগ পাস নেই রাউজানের কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে। বিশেষ করে করোনার আগের ২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এমন চিত্র দেখা গেছে। কিন্তু গত ২০১৮ সালের এই পরীক্ষায় তাও কোন প্রতিষ্ঠানে ছিল না শতভাগ পাস! চট্টগ্রামের শীর্ষ স্থানীয় কলেজগুলোর মধ্যে অন্যতম শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান হচ্ছে রাউজান উপজেলার চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজ, এবার ৫ জন পরীক্ষার্থী ফেল হওয়া এই কলেজ আবারোও হারিয়েছে তাদের শতভাগ পাসের হার। করোনার পরিস্থির আগেও চুয়েট কলেজ একজন পরিক্ষার্থী একই আকারে ফেল হওয়া সেই বছরও তারা শতভাগ পাস দেখাতে পারেনি। কিন্তু এবার বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা চুয়েটে ১১৬ জন পেয়েছে জিপিএÑ৫। ফলাফলে এবার সবার নিছে রয়েছে মুহাম্মাদপুর স্কুল এন্ড কলেজ ১০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৬ জন তাদের পাসের হার ৬০%। তবে আগের তুলনায় এবছর কিছুটা ফলাফল ভালো করে রাউজানে ২য় স্থানে জায়গা পেয়েছে দেওয়ানপুর এস.কে.সেন.স্কুল এন্ড কলেজ। গতকাল (১৩-ফেব্রুয়ারি) ফলাফলে দেখাযায় রাউজান উপজেলার চুয়েট স্কুর এন্ড কলেজ থেকে মোট ১৮৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ১৭৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৬ জন মোট পাসের হার ৯৭.২৮% । দেওয়ানপুর এস.কে.সেন.স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মোট ৪৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ৪৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন পাসের হার ৯৩.৬২%। রাউজান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে মোট ৭৩১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেন ৬৫৮ জন , জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৯ জন তাদের মোট পাসের হার ৯০.০১ %। আগের তুলনায় তাদের বেড়েছে জিপিএ পাওয়ার সংখ্যা। অগ্রসার গার্লস ডিগ্রী কলেজ থেকে মোট ১২০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ১০১ জন আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন পাসের হার ৮৪.১৭%। কদরপুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মোট ৯৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ৭৯ জন পাসের হার ৮৪.০৪%। আশালতা কলেজ থেকে ৬৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ৫৩ জন পাসের হার ৮২.৮১%। নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে মোট ৬৫৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৫৩৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ জন তাদের পাসের হার ৮১.৯৩%। হাজী বাদশা মাবিয়া কলেজ থেকে মোট ৮৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ৭০ জন তাদের মোট পাসের হার ৮০.৪৬%। হয়রত ইয়াছিন শাহ পাবলিক কলেজ থেকে ১৭৩ জন অংশগ্রহণ করে পাস করেন ১৩৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন তাদের পাসের হার ৭৯.১৯%। বিনাজুরী নবীন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মোট ২৪ জন অংশগ্রহণ করে পাস করে ১৯ জন পাসের হার ৭৯.১৭%। কুন্ডেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে মোট ১১৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ৯২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন পাসের হার ৭৮.৬৩%। গহিরা ডিগ্রী কলেজ থেকে মোট ৫০৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ৩৯৫ জন আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন তাদের মোট পাসের হার ৭৮.৩৭%। ইমাম গাজ্জালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে মোট ৪৩৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন মোট ৩০৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন তাদের পাসের হার ৭০.৩৪%। অন্যদিকে ১০ টি মাদ্রাসা মধ্যে এগিয়ে রয়েছে উপজেলার কদলপুর হামিদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা ২৬ জন পরিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২৬ জনই পাস করেছেন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন তাদের পাসের হার ১০০%। এছাড়াও রাউজানের বাকি মাদ্রাসা গুলোও ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: মনিরুল জামান জানান, এবার রাউজানের ১৪টি কলেজ থেকে মোট ৩২৪৩ জন পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ২৬৭৪ জন। এতে আমাদের পাসের হার ৮২.৪৫%। সারা রাউজানে মোট ২১০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ বয়েছে। আগের তুলনায় রাউজানে পাসের হার বেড়েছে। শতভাগ পাস করেছে কদলপুর হামিদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা। মাদ্রাস হতে ৩৭৬ জন পরিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩৫০ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন।