বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, সাদেকুল ইসলামসহ সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে সিপিবি চট্টগ্রাম ও দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে আজ (১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২) বিকাল ৪ টায় চট্টগ্রামের সিনেমা প্যালেস চত্ত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অধ্যাপক অশোক সাহার সভাপতিত্বে এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিপিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি কানাই লাল দাশ, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, জেলা কমিটির সদস্য উত্তম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, কোতোয়ালি থানার সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, জেলা কমিটির সদস্য রবিউল হোসেন ও ছাত্র নেতা মাহবুবা জাহান রুমি প্রমুখ
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে দূর্নীতি ও লুটপাটের শাসন কায়েম করেছে। সেই ঘুষ-দূর্নীতি-লুটপাট ও ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলা মূলত সরকারের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিউনিস্টদের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করায় সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড মিহির ঘোষসহ গাইবান্ধার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার করা হয়।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও দেশের জনগণকে গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক, নির্যাতন ও হয়রানি করা অত্যন্ত লজ্জাজনক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সংবিধান পরিপন্থী। হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তার করে সিপিবির অগ্রযাত্রাকে কখনো থামানো যাবে না। ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অতীতে কখনো সিপিবি’র অগ্রগতিকে থামানো যায়নি। জনগণের ভেতরে থেকেই সিপিবি গড়ে উঠেছে।’
অবিলম্বে কমরেড মিহির ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং সকলকে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে। একই সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে মানুষের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী গণআন্দোলন গড়ে তুলে কমরেড মিহির ঘোষসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মুক্তি নিশ্চিত এবং গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের জন্য বাধ্য করা হবে।