সৌদি আরবের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি বাইডেনের

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সাউদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ নিয়ে সৌদি বাদশার সঙ্গে তিনি ফোনে কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউজ থেকে বলা হয়েছে, হুতিদের এসব হামলা থেকে সৌদি আরবের জনগণ ও ভূখণ্ডের সুরক্ষায় এবং ইয়েমেন যুদ্ধের ইতি টানতে জাতিসংঘের নেতৃত্বে প্রচেষ্টায় পূর্ণাঙ্গ সমর্থন আছে যুক্তরাষ্ট্রের। এ কথাই জানিয়ে দিয়েছেন বাইডেন।

এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলছে, হুতিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন এবং যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত জোট ইয়েমেনে হামলা চালায়। ওই সময়ে রাজধানী সানা সহ দেশের বেশির ভাগ এলাকা দখলে নিয়েছিল হুতিরা। তাদেরকে হটিয়ে দিয়ে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মানসুর হাদিকে আবার ক্ষমতায় বসাতে এই হামলা চালায় জোটবাহিনী।

এই যুদ্ধ ইয়েমেনকে দুর্ভিক্ষের কিনারে নিয়ে এসেছে। ফলে জাতিসংঘ ইয়েমেনের মানবিক সঙ্কটকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সঙ্কট বলে আখ্যায়িত করেছে। জোটবাহিনীর অভিযোগ, এই যুদ্ধে হুতি বিদ্রোহীরা ইরানের পক্ষে প্রক্সি যুদ্ধ করছে।

এমন অভিযোগ হুতিরা ও তেহরান উভয়েই অস্বীকার করেছে। হোয়াইট হাউজ বুধবার সৌদি আরবে হুতিদের হামলাকে ইরান সমর্থিত বলে অভিযোগ করেছে।

১৭ই জানুয়ারি আবু ধাবিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হুতিরা। এতে নিহত হন কমপক্ষে তিনজন। পাশাপাশি একই রকম আরও কিছু হামলা হয় উপসাগরীয় দেশগুলোতে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী হুতিদের ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র আমিরাতের রাজধানীর বাইরে একটি বিমানঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। সেখানে অবস্থান করে মার্কিন সেনারা। আবু ধাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সমর্থনের অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে একটি ডেস্ট্রয়ার ও যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন সেনারা।

সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএ বুধবার বলেছে, সৌদি আরবের পাশে থাকার জন্য এবং প্রতিরক্ষা প্রয়োজনে সহায়তা দেয়ার জন্য ফোনকলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বাদশা সালমান। ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়া বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায়ও সৌদি আরবকে দেয়া সমর্থনের প্রশংসা করেন বাদশা সালমান। একই সঙ্গে ওই অঞ্চলে ইরানের অস্থিরতা সৃষ্টিকারী ‘প্রক্সি’ কর্মকাণ্ড বন্ধে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেন। পবিত্র দুই মসজিদের রক্ষক বাদশা সালমান এদিন আঞ্চলিক উত্তেজনা হ্রাস এবং সংলাপের প্রতি সৌদি আরবের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।