নেতৃত্ব বদলালেও ব্যাটিং দৈন্য কাটেনি চট্টগ্রামের

মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম ইসলামের পর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের নেতৃত্বে এলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। মঙ্গলবার মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচে চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে টস করতে নামেন তিনি। তবে অধিনায়ক বদল হলেও ব্যাটিংয়ের চিত্রটা খুব একটা বদলায়নি চট্টগ্রামের। শামীম হোসোনের প্রথম বিপিএল হাফসেঞ্চুরিতে টিকে থাকার লড়াইয়ে ১৪৮ রানের পুঁজি গড়তে পেরেছে তারা।
টানা ৪ ম্যাচে ১৫০-এর নিচে স্কোর করলো চট্টগ্রাম। ২৯শে জানুয়ারি সিলেটের বিপক্ষে ২০২ রান করে ১৬ রানে জিতেছিল চট্টগ্রাম। এরপর কুমিল্লার বিপক্ষে ১৮৩ তাড়া করতে গিয়ে ১৩১ রান, বরিশালের ১৪৯ রানের জবাবে ১৩৫ রানে অলআউট হয় তারা। এরপর কুমিল্লার বিপক্ষে দ্বিতীয় দেখায় আগে ব্যাট করে তোলে মাত্র ১৩৮ রান।

৮ ম্যাচে চট্টগ্রামের সংগ্রহ মাত্র ৬ পয়েন্ট। ৬ দলের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান পাঁচ নম্বরে।

অর্থাৎ সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প নেই- এমন সমীকরণ নিয়ে ঢাকার বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামেন আফিফরা। উইল জ্যাকসের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন জাকির হাসান। কিন্তু ৪ বলে মাত্র ১ রান করে ফজল হকের বলে বোল্ড হন জাকির। নতুন অধিনায়ক আফিফকে নিয়ে দেখেশুনে আগাচ্ছিলেন জ্যাকস।

কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৪ বলে তিন বাউন্ডারিতে ২৬ রান করে পরিণত হন আরাফাত সানির শিকারে। মেহেদী হাসান মিরাজকে (২) সাজঘরের পথ দেখান মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর দলীয় ৬০ রানে চট্টগ্রাম হারায় অধিনায়ক আফিফকে। ২৪ বলে ৪ চারে তিনি করেন ২৭ রান। আফিফের উইকেটটি নেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। উইকেটরক্ষক আকবর আলী এবারো সুবিধা করতে পারেননি। ১০ বলে ৯ রান করে আউট হন কায়েস আহমেদের বলে। ষষ্ঠ উইকেটে শামীম হোসেন ও বেনি হাওয়েলের ৪১ বলে ৫৮ রানের জুটিতে ৬ উইকেটে ১৪৮ পর্যন্ত যেতে পারে চট্টগ্রাম। এতে শামীমের অবদানই সিংহভাগ। ৩৭ বলে এই বাঁহাতি খেলেন ৫২ রানের ইনিংস। ৫ চারের সঙ্গে ছক্কা হাঁকান একটি। হাওয়েল ১৯ বলে ২ ছক্কায় ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার হয়ে মাশরাফি, ফজলহক ফারুকী, আরাফাত সানি, ইবাদত হোসেন, কায়েস আহমেদ এবং মাহমুদুল্লাহ প্রত্যেকে নেন একটি করে উইকেট। চট্টগ্রামকে হারালে খুলনাকে টপকে তিনে উঠে যাবে ঢাকা।