পল্টনে পুলিশ-ছাত্রদলের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত ১২, মজনুসহ আটক ২০

রাজধানীর নয়াপল্টনে ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রদলের ১০/১২জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন। আহতাদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ফজলুর রহমান খোকন মানবজমিনকে বলেন, রাজধানীর রুপনগরে আজ ছাত্রদলের একটি কর্মী সভা ছিলো। সেখানে পুলিশ ও ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যার পর ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল বের করলে পুলিশ ধাওয়া দেয়। এসময় আমাদের ১০/১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।

এর মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে দলীয় কার্যালয়ের চারপাশে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। আমাদের অনেক নেতাকর্মী কার্যালয়ে অবরুদ্ধ রয়েছে।
এ ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সন্ধ্যায় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন রাজু, তানজিল হাসান, তবিবুর রহমান সাগর, আরিফুল হকসহ মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে বিকালে রূপনগরে কর্মী সম্মেলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, মহানগর পশ্চিমের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম মামুন, যুগ্ম আহবায়ক আকরাম আহম্মেদ, তাইফুর রহমান ফুয়াদসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ ২৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। রোববার রাতে নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরী এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী বলেন, নয়াপল্টনে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের পর বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনুসহ ২০ থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শুধু নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেই ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ এখন পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং মহানগর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে।