৬ বারের সদস্য আবুল কাশেম হত্যা হামলা খুনীদের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:::

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৬ বারের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম হত্যা মামলার প্রধান আসামী মাদক কারবারী, ডাকাত সর্দার, ইউপি সদস্য বেলালকে গ্রেপ্তার ও খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সর্বস্তরের জনতা। রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় স্থানীয় খেয়ারহাট বাজারে শুরু হওয়া মানববন্ধনে অংশ নেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কয়েক শত স্থানীয় জনগন ও নিহত কাশেমের পরিবারের সদস্যরা।

মানববন্ধনে বলা হয়, ঘটনার ১২দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামী, মাদক ব্যবসায়ি, ডাকাত সর্দার ও স্থানীয় শাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. বেলাল হোসেনকে রহস্যজনক কারণে এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

মানববন্ধনে সাহেরখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাজু আহাম্মেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী, সমাজসেবক বদরুদ্দৌজা, ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান এবাদী, মায়ানী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আবু জাফর, সাহেরখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ওহিদুল আলম, ২ নং ওয়ার্ডের আনোয়ারুল হক, নিহতের সন্তান বদরুদ্দৌজা তারেক, মঘাদিয়া সাউথ এডুকেশন এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি নুর ইসলাম।

এসময় তারা দাবি করেন, ইউপি সদস্য বেলাল ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করতে হবে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত সকল আসামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

মানবন্ধনে অংশ নেয়া নিহত আবুল কাশেমের ছেলে বদরুদৌজা তারেক বলেন, ‘ইউপি সদস্য বেলালের নেতৃত্বে আমার বাবাকে খুন করা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। একটি মহল বেলালকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
সর্বস্তরের জনতার ওই মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন শাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরীসহ কয়েকজন ইউপি সদস্যও।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১০টায় উপজেলার শাহেরখালী খালের কাদামাটি থেকে ছুরিকাহত অবস্থায় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর গত ৩১ জানুয়ারি (সোমবার) আবুল কাশেমের স্ত্রী বাদি হয়ে মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরদিন মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর বেলায় চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল কাশেম মারা যান। এরপর মামলার এজাহারভূক্ত আসামীদের মধ্যে ৩ জন এবং জড়িত সন্দেহে আরো একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠায়।