সাংবাদিক কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান আর নেই

সাংবাদিক কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান আর নেই। ইন্নালিল্লাহি..রাজিউন।

শনিবার রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে পৌনে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন।

এ প্রথিতযশা সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার ভাগিনা মাহবুবুর রহমান পীর। তবে পরিবারের তরফ থেকে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ট্রোক করেন পীর হাবিবুর রহমান।  তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)  স্থানান্তর করা হয়।

গত বছরের অক্টোবরে মুম্বাই জাসলুক হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের মাধ্যমে ক্যানসার মুক্ত হন পীর হাবিবুর রহমান।

দেশে ফিরে গত ২২ জানুয়ারি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর পরামর্শে তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন।

করোনামুক্ত হলেও কিডনি জটিলতার কারণে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন।

বরেণ্য সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমানের জন্ম ১৯৬৩ সালের ১২ নভেম্বর সুনামগঞ্জ শহরে।

আপডেট সাংবাদিক পীর হাবিবের দ্বিতীয় জানাজা রবিবার বাদ জোহর, জাতীয় প্রেসক্লাব সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের প্রথম নামাজে জানাজা আজ শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) তার উত্তরার বাসা সংলগ্ন ৪ নম্বর সেক্টরের পার্ক মসজিদে বাদ এশা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার লাশ হিম ঘরে রাখা হবে। আগামীকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখা হবে। বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেওয়া হবে সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের মৃতদেহ। বিকাল ৩ টায় মৃতদেহ তার প্রিয় কর্মস্থল বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে নেওয়া হবে। আগামী সোমবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে তার মৃতদেহ। বাদ জোহর সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদে এবং নিজ গ্রাম মাইজবাড়ীতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন পীর হাবিবুর রহমান।