কোভিড থেকে বাঁচতে দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন চমক ‘কোস্ক’ মাস্ক

    দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন হৈ হৈ করে বিক্রি হচ্ছে এই মাস্ক । নাম কোস্ক মাস্ক। এটি একটি অ্যান্টি-ভাইরাস মাস্ক যা শুধুমাত্র নাক ঢেকে রাখে, ফলে খাওয়া বা পান করার সময় বার বার মাস্ক খোলার দরকার পড়ে না। দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘কো’ মানে নাক। ‘কো’ আর ‘মাস্ক’ মিলে হয়েছে ‘কোস্ক’। গোটা বিশ্বের নজর এখন এই মাস্কের দিকে। অ্যাটম্যান নামে একটি কোম্পানি এই মাস্ক বাজারে নিয়ে এসেছে। ১০টি মাস্কের দাম পড়ে ৮.১৩ ডলারের মতো।

    এটি দুটি টুকরো নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে একটি মুখ খোলা রেখে গুটিয়ে নেওয়া যায়। ইতিমধ্যেই বাজারে তিনটি পুনঃব্যবহারযোগ্য কপার অ্যান্টিভাইরাস নোজ মাস্ক” পাওয়া যায় ,যা সব সময় নাক ঢেকে রাখে। এগুলি বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায় দাম পড়ে ১.৬৫ ডলার। ‘কোস্ক’ মাস্ক এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা খাওয়া বা পান করার সময় মুখ থেকে অনায়াসেই সরানো যেতে পারে। কিন্তু নাক থেকে এটি সরবে না। ইতিমধ্যেই এই মাস্কগুলো অনলাইনে বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।কেউ বলছেন এটি শুধুই ফ্যাশন। কেউ বলছেন নজর কাড়ার জন্য তৈরি হয়েছে এটি। এই মাস্ক পরলেও মুখ খোলা থাকছে, ফলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে মত অনেকের। তবুও, কিছু গবেষণা থেকে জানা গেছে যে করোনাভাইরাস শরীরে প্রবেশের জন্য নাকই সবচেয়ে সহজ পথ, তাই শুধু নাকের মাস্ক পরা দেখতে যতটা হাস্যকর ততটা নাও হতে পারে। আর তাই কোস্কের পক্ষেও মত রয়েছে অনেকের। যেহেতু প্রয়োজনে এই মাস্কের ভাঁজ খুলে মুখও ঢেকে নেওয়া যায়, তাই এই অভিনব ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে।

    অস্ট্রেলিয়ার ডেকিন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ট্রান্সফরমেশনের মহামারীবিদ্যার প্রফেসর ক্যাথরিন বেনেট নাইন নিউজকে বলেছেন যে মাস্কগুলি শুধুমাত্র নাক ঢেকে রাখে তা অদ্ভুত মনে হতে পারে তবে যারা একদমই মাস্ক না পরে ঘুরছেন তাদের জন্য এটা বেশ ভালো। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারের কারণে বুধবার প্রথমবারের মতো সংক্রমণের সংখ্যা ২০ হাজারের ওপরে যাবার পর বৃহস্পতিবারও সংক্রমণের রেকর্ড অব্যাহত , এটি ২২, ৯০৭ এর ঘর ছুঁয়েছে। যাইহোক, পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে মহামারী শুরুর পর থেকে তুলনামূলকভাবে কম ( ৬,৮১২) লোকই মারা গেছেন ।

    সূত্র : www.theguardian.com