রেলওয়েকে উন্নত করতে নৈতিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে

রেলওয়ে শ্রমিকলীগের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্টানে মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের আজকের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পিছনে রয়েছে মূলত: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। ১৯৭৫’র পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বার বার ধ্বংস করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে তার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছোয়ার দ্বারপ্রান্তে। তিনি বলেন, অতীতের কোন সরকার শ্রমজীবীদের ভাগ্য উন্নয়নে কোন কর্মসূচী গ্রহণ করেনি। একমাত্র বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করে শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। মেয়র বলেন, রেলওয়ে শ্রমিকরা মুক্তিযুদ্ধের আগে ও যুদ্ধকালীন সময়ে যে অবদান রেখেছেন তা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নির্মাণে ইতিহাস হয়ে আছে। তিনি রেলওয়েকে একটি উন্নত সেবাখাত হিসেবে গড়ে তুলতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে নৈতিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নতুন রেলওয়ে ষ্টেশন চত্ত্বরে বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিকলীগ চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে বিজয়ের সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
রেলওয়ে শ্রমিকলীগ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকারী সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ মো. লোকমান হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, আতাউল্লাহ চৌধুরী ও আবদুস সালাম মাসুম। এতে আরো বক্তব্য রাখেন শ্রমিকলীগ নেতা অরুণ কুমার দাশ, মো. শহীদুল আলম শহীদ, গোকুল চক্রবর্ত্তী, মো. সাইমুম হোসেন, শামীম শাহরিয়ার পাপ্পু, মো. আবু সুফিয়ান, জাগির হোসেন, রকিবুল আলম সাজ্জি, আলী আকবর, সুজন চৌধুরী, আব্দুল মতিন, সজীব কুমার দাশ প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, বাংলাদেশর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করলে বিশ্বব্যাংক সহ কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এর বিরোধীতা করেছিল। আজকের প্রধানমন্ত্রী বিরোধীতাকে আমলে না নিয়ে বলেছিলেন পদ্মা সেতু ১৭কোটি মানুষ থেকে ১-২টাকা করে গ্রহণ করে এই পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হবে। যে কথা সে কাজ। সেই স্বপ্নের সেতু আগামী নতুন বছরে পদ্মাসেতু জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে শুধু তাই নয় রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন হচ্ছে আগামী বছর কক্সবাজার পর্যন্ত রেল চলাচল করবে এতে করে পর্যটনখাতে বিপুল সুফল পাওয়া সম্ভব হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজ সমূহকে জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য মুজিব আদর্শের সৈনিকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি রেলশ্রমিকদের যে কোন সমস্যা সমাধানে নিজের অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে শেখ মো. লোকমান হোসেন বলেন, ২০০৮সালে শেখ হাসিনা রেলের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় করে রেলের সার্বিক উন্নয়নে হাত দিয়েছে। এরপরও আমলাতান্ত্রিক কিছু জটিলতার কারণে রেলশ্রমিকরা অনেক সমস্যায় জর্জরিত। তিনি এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রেল শ্রমিকদের অবদানকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। কিছু কিছু ভূইফোঁড় লোক নেতৃত্বে এসে রেলশ্রমিকদের ভূল পথে পরিচালিত করছে। তিনি সবাইকে এ ব্যাপারে সর্তক থাকতে আহ্বান জানান।
কাউন্সিলর আতাউল্লাহ চৌধুরী বলেন, রেলশ্রমিকদের নেতা ছিলেন মরহুম রমতউল্লাহ চৌধুরী। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে রেলশ্রমিকরা রেল এবং জাতীয় স্বার্থে অনেক ভূমিকা রেখেছেন। সেই বলিষ্ঠ নেতৃত্ব তৈরী করতে পারলেই দেশ আরো এগিয়ে যাবে।
আবদুস সালাম মাসুম বলেন, রেলশ্রমিকলীগের প্রতি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সবসময় দূর্বল ছিলেন। তিনি বিরোধী দলের অবস্থানে থেকে রেলশ্রমিক লীগের কোন কর্মসূচীতে যোগদান করলে বলতেন, রেলে উঠলেই মনে হয় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় অর্থ্যাৎ রেলশ্রমিক লীগ সবসময় সুসংগঠিত। সেই ইতিহাসকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব আলী আশরাফ বলেন, অতীতে রেলওয়ে শ্রমিকলীগ রেলকে নিয়ে যে কোন ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়িয়েছে। রেলের উন্নয়নেও ভূমিকা রেখেছে। আগামীতেও সেই ভূমিকা অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

চসিক মেয়রের কাছে এস.এস.সি পরীক্ষার ফল হস্তান্তর বোর্ড কর্মকর্তাদের

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এস.এস.সি) ২০২১’র প্রকাশিত ফলাফল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নিকট হস্তান্তর করেছেন বোর্ডের কর্মকর্তারা। নগরীর টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে তাঁর দপ্তরে এই ফলাফল হস্তান্তর করা হয়। ফলাফল হস্তান্তরকালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের উপ-সচিব মো. বেলাল হোসেন, বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী, চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র ফলাফল গ্রহণকালে ২০২১ সালের এস.এস.সি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বৈশ্বিক মহামারির দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা প্রায় শতভাগ পাশ করার মাধ্যমে যে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে তা প্রশংসনীয়। আমার প্রত্যাশা এই শিক্ষার্থীরাই আগামীদিনের নেতৃত্বের হাল ধরে দেশকে উন্নতির সোপানে এগিয়ে নিয়ে যাবে।


মানুষ তার কর্মের মধ্যেই বেঁচে থাকে
চসিক প্রকৌশলী অজিত কুমার দাশের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়র
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মানুষ তার কর্মের মধ্যেই বেঁচে থাকে। তিনি যে কাজ করেছেন তাতে দেশ জাতি কতটা উপকৃত হলো সেটাই হলো মুখ্য বিষয়। কর্ম জীবন শেষে অবসরকালীন সময়ে সুস্থভাবে জীবন অতিবাহিত করাটা একটা কঠিন কাজ ও ভাগ্যের বিষয়। সুস্থ ও সম্মান নিয়ে বিদায় নেওয়া একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরম প্রাপ্তি। তিনি সহকারী প্রকৌশলী অজিত দাশের আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর কথা স্মরণ করিয়ে দেন। স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য মেয়র সকলের প্রতি আহ্বান জানান। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইগারপাসস্থ চসিক সম্মেলন কক্ষে চসিকের সহকারি প্রকৌশলী অজিত কুমার দাশের অবসর উত্তর বিদায় সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, মনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, আশিকুল ইসলাম, মির্জা ফজলুল কাদের, ফরহাদুল আলম, শাহীনুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, সিবিএ’র সভাপতি উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহমদ, চন্দন দাশ, অলি আহমদ। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।