রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রতিনিয়ত হয়রানী

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ দালাল ছাড়া কাজ হয়না রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রতিনিয়ত নিবার্চন অফিসে এসে হয়রানীর শিকার হচ্ছে রাউজানের বিভিন্ন এলাকার লোকজন। ভোটার ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ভুল সংশোধন, ভোটার এলাকা পরিবর্তন, নতুন ভোটার হতে আসলে এলাকার লোকজন উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসেন । রাউজানের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজনকে তাদের আইডি কার্ড এর ভুল সংশোধন ও নতুন ভোটার হতে আসলে প্রথমে রাউজান উপজেলা পরিষদ কার্যলয়ের সামনে সাদিয়া কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে ৩শত টাকা থেকে ৫শত টাকা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হয় । অনলাইনে আবেদন করার পর ভুক্তভোগীরা রাউজান উপজেলঅ নির্বাচন অফিসে গেলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের অৎুহাত দিয়ে আদায় করে টাকা । টাকা না দিলে বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি দেখিয়ে লোকজনকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় । রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসের রয়েছে কয়েকজন দালাল । দালালদের মাধ্যমে টাকা দিয়ে চুক্তি করে এলাকার লোকজন তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র ভুল সংশোধন ও নতুন ভোটার হওয়ার কাজ দ্রুত কাজ করে দেওয়া হয় । রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে হয়রানীর শিকার হওয়া রাউজানের ডাবুয়া ইউনিয়নের দক্ষিন হিংগলা শান্তি নগর এলাকার বাসিন্দ্বা বেদুরা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে মোহাম্মদ ইয়াকুব আলীকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর জন্য পার্সপোর্ট তৈয়ারী করার জন্য ইয়াকুব আলীকে ভোটার করার জন্য গত দু মাস পুর্বে যথা নিয়মে আবেদন করেন । আবেদন করার পর ইয়াকুবের ছবি তোলা হয় উপজেলা নির্বাচন অফিসে । দু মাস অতিবাহিত হলে ও কয়েক দপে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গেলে ও তার জাতীয় পরিচয় পত্র ও ভোটার আইডি কার্ড না পেয়ে পার্সফোট তৈয়ারী করতে পারেনি । বেদুরা বেগম আরো অভিযোগ করে আরো বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসে গেলে ইয়াকুবের ভোটার আইডি কার্ড আসেনি বলে জানান । পরে রাউজান উপজেলা পরিষদের সামনে সাদিয়া কম্পিউটারে গেলে ভোটার হওয়ার আবেদনের স্লীপ দিলে সাদিয়া কম্পিউটারের মালিক বেদুরা বেগমকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে টাকা দিয়েছেন কিনা বললে, বেদুরা বেগম টাকা দেয়ানি বলে জানালে, উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে টাকা দিলে ভোটার আইডি কার্ড ও জাতীয় পরিচয় পত্র পাবে বলে বলেন । গতকাল ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াজিশপুর এলাকার আলী সিকদার বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে মো. জয়নাল এসেছিলেন নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করার জন্য। সকাল ১০টা থেকে তালাবদ্ধ অফিসের বাইরে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বসে থেকেও কোন কাজ হয়নি। একইভাবে ওমান প্রবাসী রুহুল আমীনের ছেলে মো. রানা, চিকদাইর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়র্ডের ফরিদা আকতার পপি, রাউজান পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের নাজির পাড়ার শহীদুল ইসলামের মেয়ে আফরোজা সুলতানার স্বজন অপেক্ষায় ছিলেন নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তার অপেক্ষায় ছিলেন। জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড তৈয়ারী করার সময়ে রাউজানের বিভিন্ন এলাকার লোকজনের নাম, বয়স ভুল, ভোটারের পিতার নামের স্থলে অন্য জনের নাম উল্লেখ করে ভোটার আইডি কার্ড তৈয়ারী করা হয় । এলাকার লোকজনের ছেলে মেয়েকে শিক্ষা প্রতিষ্টানে ভর্তি করতে ভুলে ভরা আইডি কার্ড সংশোধন করতে হচ্ছে । সরকারী চাকুরীজিবীদের বেতন ভাতা সহ বিভিন্ন কাজে ভুলে ভরা আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য প্রতিদিন রাউজানের বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত নারী পুরুষ উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে এলাকার লোকজনের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে । এছাড়া ও রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসার অরুন উদয় ত্রিপুরা রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসারের দায়িত্ব ছাড়াও অন্য উপজেলায় নির্বাচন অফিসারের দায়িত্ব পালন করায় অরুন উদয় ত্রিপুরা নিয়মিত রাউজানে থাকেনা । এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসার অরুন উদয় ত্রিপুরার কাছে ফোন করে জানতে চাইলে, তিনি প্রশিক্ষনে রয়েছে বলে দাবী করে বলেন, নির্বাচন অফিসে কোন দালাল রয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। নির্বাচন অফিসে সেবাগ্রাহতার কাছ থেকে উৎকোচ নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবী করে উপজেলা নির্বাচন অফিসার অরুন উদয় ত্রিপুরা বলেন, আমি অন্য উপজেলায় দায়িত্ব পালন করার কারনে সেবা নিতে আসা লোকজর্নে সেবা পেতে বিলম্ব হচ্ছে ।