উদ্বোধনের ১১ ঘণ্টা পর সেই আদেশ প্রত্যাহার

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ হিসেবে দেওয়া আদেশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তারা।

এর আগে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টের দেড়’শ মিটার এলাকায় ‘সংরক্ষিত এলাকা’ (নারী ও শিশুদের জন্য) সাইন বোর্ড টাঙিয়ে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

উদ্বোধনের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে ২০১৮ সালে একইভাবে একটি এলাকায় সাইন টাঙিয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি কার্যকর ছিল মাত্র ৩ দিন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সৈকতে নারী ও শিশুদের জন্য উদ্বোধন করা ‘সংরক্ষিত এলাকা’ থেকে ‘সংরক্ষিত’ বিষয়টি প্রত্যাহার করে নেয় জেলা প্রশাসন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসন সম্মানিত পর্যটকদের মতামতের ওপর সব সময় শ্রদ্ধাশীল। বিভিন্ন সময়ে পর্যটকদের মধ্যে অনেকেই অনুরোধ করেছেন, নারী ও শিশু পর্যটকদের জন্য যারা ইচ্ছে পোষণ করবেন তাদের জন্য একটি এক্সক্লুসিভ জোন থাকলে ভালো হয়। সেই বিবেচনায় বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে একটি পৃথক এলাকা চিহ্নিত করে নারী ও শিশুদের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এক্সক্লুসিভ জোনে যাদের ইচ্ছে হবে যাবেন, অন্য পর্যটকরা তাদের ইচ্ছে মতো ঘুরবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই এক্সক্লুসিভ জোন উদ্বোধন নিয়ে খবর প্রচারিত হয়। প্রচারিত খবরের প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনায় বিষয়টি নিয়ে বিরূপ মতামত পাওয়া গেছে। পর্যটকদের মতামতের ওপর সব সময় আমরা শ্রদ্ধাশীল। সুতরাং সম্মানিত পর্যটকদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে নারী ও শিশুদের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন চালু রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হলো।