প্রথম দিন ভ্যাকসিন পেলেন ১ হাজার শ্রমিক

চট্টগ্রাম মহানগরীর ট্রাক-কাভার্ডভ্যান শ্রমিকদেরকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। আজ ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ইংরেজি শনিবার দুপুর ২টায় পোর্টকানেক্টিং রোডের বন্দর ইষ্ট কলোনী সংলগ্ন তাল তলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম তদারকি করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী। চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক-কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সরকারী গাড়ি চালক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মোঃ এয়াছিন চৌধুরী বিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পরিবহন শ্রমিকদের ৩ দিনব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। উদ্বোধনী দিনে ১ হাজার পরিবহন শ্রমিককে অ্যাস্ট্রোজেনেকার ১ম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। আগামী ২ মাস পর তাদেরকে ২য় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সরকারী গাড়ি চালক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সহযোগিতায় আগামীকাল ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর আরও ২ হাজার পরিবহন শ্রমিককে কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় আনায় উদ্যোগ নিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুমন এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মোঃ সুমন প্রকাশ সুমন হিজড়া, সরকারী গাড়ি চালক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ এয়াছিন চৌধুরী বিটু, সদস্য মোঃ আরিফ ও মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমূখ। চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক-কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, পরিবহন শ্রমিকরা সুরক্ষিত না থাকলে পরিবহন মালিক পক্ষ সুরক্ষিত থাকবেনা, দেশের অর্থনীতির চাকাও সচল থাকবেনা। সরকারের নির্দেশনায় তাদের প্রত্যেককে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র নেই বা থাকলেও কোন কারণে সুরক্ষা অ্যাপ্সের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি তাদের নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর নির্দিষ্ট কার্ডে লিখে প্রথম দিন ১ হাজার শ্রমিককে অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর মনে আছে তাদের নম্বর ঐ কার্ডে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী দু’দিনে আরও ২ হাজার পরিবহন শ্রমিককে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। এটা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি আরও বলেন, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায় ও কারাবন্দীসহ পিছিয়ে থাকা অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলেও তারা আমাদের সমাজেরই মানুষ। ভ্যাকসিন দেয়া থাকলে করোনার ঝুঁকি অনেকটা কম। করোনা ও ওমিক্রন থেকে রক্ষা পেতে হলে পর্যায়ক্রমে সবাইকে কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় আসতে হবে। নিজে ভ্যাকসিন নিয়ে অন্যকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি মাস্ক পরিধানসহ সামজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। জমাসমাগম ঘটে এমন সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে হবে।