প্রকাশ্যে ভরাট করা হচ্ছে শত বছরের পুরোনো পুকুর

মোঃ মহিন উদ্দীন,হাটহাজারী:
হাটহাজারী উপজেলা সদরে প্রকাশ্যে ভরাট করা হচ্ছে শত বছরের পুরোনো পুকুর। আইন অমান্য করে জলাশয় ভরাটে পরিবেশ বির্পযয়সহ পানি সংকটের আশংকা করছে এলাকাবাসী। অথচ উপজেলা প্রশাসনের অদূরে এ পুকুরটি ভরাট করা হলেও সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরব থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় দেড়শ গজ দূরে হাটহাজারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের উত্তর পাশের শত বছরের পুরালো বিশাল পুকুরটি মাটি ও বালি দিয়ে ভরাটের কাজ চলছে। এভাবে মাটি ও বালি ঢেলে পুরোনো পুকুর ভরাট হতে থাকায় পানি সংকটসহ মারাত্বক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় শঙ্কিত এলাকাবাসী। তছাড়া যে কোনো মানবসৃষ্ট দূর্যোগ তথা আগ্নিকা-ের দুর্ঘটনায় উক্ত এলাকার একমাত্র পুকুরটি হল শেষ ভরসা। তবে ভরাট হয়ে যাওয়ার কারেণ পানি সংকট তৈরী হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শত বছরের পুরোনো পুকুরটি বহু ঘটনার সাক্ষি। একটি চক্র এ পুকুরটির মালিকের আর্থিক ভাবে অসচ্চলতার সুযোগ নিয়ে বায়না করে পুকুরের একটি অংশটি ভরাট করে এক প্রবাসীর কাছে চড়া দামে বিক্রি করে দেয়। ওই চক্রটি বেশ প্রভাবশালী হওয়ায় পরিবেশ আইন অমান্য করে পুকুর ভরাট হতে চললেও নির্বিকার রয়েছে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় প্রশাসন। তারা আরও বলেন, এভাবে এলাকার একমাত্র শত বছরের পুরোনো পুকুরটি ভরাট করার ফলে ভবিষ্যতে যে কোনো অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পানির চরম সংকট দেখা দিবে। এছাড়া যদি অগ্নিকা-ের মত কোন বড় ধরণের দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে এর দায়ভার তখন প্রশাসনকে নিতে হবে। হাটহাজারী এলাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের আওতার বাইরে কিনা সে প্রশ্ন সচেতন মহলের। তারা বলেন, রাতারাতিতো আর পুকুরটির ভরাট হয়ে যায়নি বা যায়না সময় লেগেছে তবে যখন ভরাট কাজ চলে তখন কেনো সংশ্লিষ্টরা চুপ ছিলেন, নাকি চোঁখে টিনের চশমা দিয়ে চলা ফেরা করেছিলেন তা নিয়েও চলছে আলোচনা সমালোচনা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিষয়গুলো পরিবেশ অধিদপ্তর দেখে। তবে আমরা কোন পদক্ষেপ নিতে গেলে দেখা যায় মালিক কে খুজে পায়না। তখন আমরা কাকে নোটিশ দিতে পারি?

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পুকুর ভরাট করতে হলে আমাদের থেকে অনুমতি নিতে হবে। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।