বাঁশখালী আসনটি এবারো বিএনপির হাতছাড়া হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী সংসদীয় আসনটি হাতছাড়া হতে পারে বিএনপির। দলের নানামুখী কোন্দলের কারণে আসনটিতে বিএনপির অবস্থা বেশ নাজুক হয়ে পড়েছে। আসনটিতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর জামায়াতের সাথে আনুষ্ঠানিক বোঝাপড়া না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

সূত্রমতে, বাঁশখালী আসনে বর্তমানে একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের। আওয়ামীলীগের ভোটারের আধিক্যে বারবারই এগিয়ে ভোটের মাঠে এগিয়ে থাকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী। কিন্তু বিগত ১০ বছরের রাজনৈতিক মেরুকরণে বিএনপির আধিপত্য এখানে অনেকাংশে কমে এসেছে। সাংগঠনিকভাবে আসনটিতে দৃঢ় অবস্থান তৈরী হয়েছে আওয়ামীলীগ।

২০১৪ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। বিগত ৫ বছর ধরে আওয়ামীলীগ এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে আসছে স্থানীয় প্রসাশন। তাছাড়া বিগত ২০১৭ সালের ইউপি নির্বাচনে বাঁশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নের মধ্যে জয়লাভ করে আওয়ামীগের দলীয় ৮ জন চেয়ারম্যান ও বিএনপির ৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান ।

বাশখঅলীতে বিএনপির কোন্দলের কারণে বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরে যায় বিএনপি। বর্তমানে বিএনপি মূলত দুটি বড় ধারা এবং বেশ কটি ছোট অংশে বিভক্ত হয়ে পরিচালিত হচ্ছে দলটির কার্যক্রম।

বড় দুটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নব্বইএর গণ আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা এডভোকেট ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন।

অন্য ছোট অংশগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাশখালীের পৌর মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনি ও গন্ডামারা ইউনিয়নের চয়ারম্যান লেয়াকত আলী। বর্তমানে লেয়াকত আলী কারাগারে রয়েছেন।

সূত্রমতে, এবারের সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির ত্রিমুখী কোন্দল নিরসন না হলে এবং জামায়াতের সাথে আনুষ্ঠানিক বোঝাপড়া না হলে বিএনপির দলীয় প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এক্ষেত্রে আসনটিতে সহসা জয়ী হতে পারে আওয়ামীলীগ।

অন্যদিকে, এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন বাঁশখালী উপজেলা জামায়াতের আমীর ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম। এরইমধ্যে তিনি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাও শুরু করে দিয়েছেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগ ও বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বাঁশখালীতে তারও একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে। জামাতের একটি অংশ দাবী করেছে জাফরুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রাথী দিলে তারা নির্বাচন করবে। এক্ষেত্রে বিএনপির অন্যকোন নেতাকে দিলে সমোঝতা হতে পারে।